শুভঙ্কর বসু: বঙ্গ বিজেপির (BJP) রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির সম্ভাবনা। এই দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। আইনজীবী রমাপ্রসাদ রায় মামলা দায়ের করেছেন। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। অনুমতি না মিললেও রথযাত্রা হবেই, এককাট্টা গেরুয়া শিবির।
ইতিমধ্যে রথযাত্রার সূচি ঘোষণা করেছে বঙ্গ বিজেপি। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের মোট পাঁচটি জায়গা থেকে পাঁচটি পরিবর্তনের রথযাত্রা বের হবে। যেগুলি ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যাবে। নবদ্বীপ থেকে যাত্রার সূচনা করার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J.P.Nadda)। তাঁর হাত দিয়ে আরও একটি রথযাত্রার সূচনা হবে। জানা গিয়েছে, বাকি তিনটি রথযাত্রার সূচনা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অন্য পরিবর্তনের রথযাত্রাগুলির যাত্রা শুরু হবে কোচবিহার, কাকদ্বীপ, ঝাড়গ্রাম ও তারাপীঠ থেকে। ৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপের যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হবে কলকাতায়। এদিকে তারাপীঠের যাত্রা শুরুর কথা ৯ ফেব্রুয়ারি। যাত্রাপথ উল্লেখ করে মুখ্যসচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। নবান্নের তরফে বিজেপিকে পালটা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রথযাত্রার জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে কয়লা পাচার মামলা: CBI-এর এক্তিয়ার নিয়ে খারিজ লালার আবেদন]
রথযাত্রা হলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই মর্মে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে। তবে জনস্বার্থ মামলা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ বিজেপি। সূত্রের খবর, অনুমতি না মিললেও রথযাত্রা হবে বলেই জানিয়েছে পদ্মশিবির। এদিকে, এই রথযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক আঁকচাআঁকচি। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আদালত কী করবে সেটা আদালতের বিষয়। তবে যিনি রথযাত্রার কাণ্ডারী সেই লালকৃষ্ণ আডবাণীকেই বিজেপি সাইডলাইনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।” তবে তৃণমূলের কটাক্ষের পালটা প্রতিক্রিয়া বিজেপির তরফে পাওয়া যায়নি।