প্রণব সরকার, আগরতলা: ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের ছাড়পত্র দিতে রাজ্যে এলেন দীপা দাশমুন্সি। হিমাচল প্রদেশে সফল হওয়ার পর তাঁকে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের স্ক্রিনিং কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। রাজ্যে এসেই তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে। সিপিএমের সঙ্গে সমঝোতায় তাঁর আপত্তি নেই।
দীপার সবুজ সংকেত পেয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, “সিপিএমের (CPM) সঙ্গে যাতে আর কোনও দিন সংঘাত না হয়, সেজন্যই জোটের প্রয়োজন।” যদিও ত্রিপুরায় (Tripura) এই জোট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব। একটি অংশ সিপিএমের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করছে। এদিকে জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যে আসছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। রাজ্য কমিটির সদস্যদের মতামত নেবেন তিনি। পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের তেমন বিরোধিতা করেননি।
[আরও পড়ুন: হাওড়া ছাড়তেই ইঞ্জিন থেকে আলাদা হয়ে গেল বগি, দুর্ঘটনার কবলে ইস্পাত এক্সপ্রেস]
বছর ঘুরলেই দেশের নয় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ভোট। এছাড়াও ভোট হবে রাজস্থান, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। জম্মু কাশ্মীরেও ভোট হতে পারে বলে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। এরই মধ্যে ত্রিপুরায় নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম হয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই পার্টির পলিটব্যুরোর তরফে রাজ্যে বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর দখলদারি কায়েম করছে। বিরোধীদের ওপর নৃশংস আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেস প্রতিবাদ করছে। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) যাতে আগামী বিধানসভা ভোট নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করে বিজেপি বিরোধী সব দলকে একত্রে সরব হতে হবে।
পলিট ব্যুরোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ভোটে সিপিএম ও কংগ্রেস (Congress) হাত ধরাধরি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে পার্টির শীর্ষনেতৃত্ব আপত্তি করবে না। সেইদিকেই এগোচ্ছে পরিস্থিতি। যদিও হাত শিবিরের কিছু নেতা এই জোট চাইছেন না। শেষপর্যন্ত তাঁদের আপত্তি জোটের অন্তরায় হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।