shono
Advertisement

বামেদের ডাকা বাংলা বনধ ব্যর্থ: পার্থ

বাংলা বনধ ব্যর্থ করে সাফল্যের দাবি তৃণমূলের।
Posted: 04:38 PM Apr 13, 2018Updated: 04:53 PM Apr 13, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বামেদের ডাকা বাংলা বনধ ব্যর্থ করে সাফল্যের দাবি জানালেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ আজ, শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মহাসচিব বলেন, ‘‘আজ বামের বন্‌ধ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে৷ মানুষই বন্‌ধ আজ রুখে দিয়েছে৷ এভাবে বনধ করে মানুষকে সমস্যায় ফেলে কি আর ভোটের ময়দানে টিকে থাকা যায়?’’

Advertisement

এদিন বামেদের ডাকা বনধ তুলতে সকাল থেকেই মাঠে নামেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা৷ বনধের বিরুদ্ধে চলে শ্লোগান৷ মিছিল করে তৃণমূল কর্মীরা৷ ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ এদিন দমদমের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন৷ কলকাতা বিমানবন্দরেও যান৷ ধর্মঘট উড়িয়ে যারা রাস্তায় নেমেছেন, অনেককে মিষ্টিমুখও করান তিনি৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগাতার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আজ, শুক্রবার ছ’ঘণ্টার বনধ ডাকে সিপিএম৷ বামেদের বনধ বিরোধিতা করে মাঠে নেমে তৃণমূল৷ জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে এদিন উঠে পড়ে লাগে শাসকদল ও রাজ্য প্রসাশন৷

এদিন যাঁরা বনধের অছিলায় কাজে ফাঁকি দিতে চেয়েছেন তাঁরাও পারলেন না৷ খুব সকালেই কাজে এসেছেন বাড়ির পরিচারক-পরিচারিকারা। ভিড় ট্রেনে-বাসে দশটার আগেই অফিসে ঢুকে পড়েছেন বাড়ির কর্তা। অন্য দিনের মতো, বরং রাস্তায় বাড়তি বাস নামায় প্রায় সব সিগন্যালে দাঁড়াতে হয়েছে বাসকে৷ শুক্রবারের বামেদের ছ’ঘণ্টার বন্‌ধ নিয়ে এটুকু বললেই হয়তো ছবিটা পরিষ্কার বলা যেতে পারে৷ পুরোটাই স্বাভাবিক রইল বাংলা৷

ধর্মঘটের ভাবনা তেতো না ভোঁতা, তা নিয়েও হয়তো আর বিতর্কের অবকাশ নেই৷ সিপিএমের সংগঠনের দাপট যে কত তলানিতে তা নিয়েও সন্দেহ নেই। এটাও ঠিক, বাঙালি ভুলেই গিয়েছে বন্‌ধ কালচার৷ স্বাভাবিক তথ্যপ্রযুক্তি। ছন্দে জেলা। ছন্দে শহর। বন্‌ধ ব্যর্থ বা রাস্তাঘাট স্বাভাবিক বললেও বোধ হয় কম বলা চলে৷ রাস্তার পাশের বাজারও বসেছে৷ সরকারি বাস চালকরা হেলমেট পরে গাড়ি চালিয়েছেন৷ অন্যদিনের তুলনায়ও গাড়িতে একটু বেশিমাত্রায় যাত্রী৷ পরিবহণও স্বাভাবিক৷

দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, কোনও অভিযোগ আসেনি৷ সবটাই স্বাভাবিক৷ রাস্তায় নেমেছে ৩৬০০ বাস৷ বিদ্যুৎভবনে বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদই চলে আসেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ দমদমে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন৷ কলকাতা বিমানবন্দরেও যান৷ ধর্মঘট উড়িয়ে যারা রাস্তায় নেমেছেন, অনেককে মিষ্টিমুখও করান৷ হাওড়ায় ফেরিঘাট চত্বরে গিয়েছিলেন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার বার্তাও দেন৷ নবান্নেও হাজিরা অত্যন্ত স্বাভাবিক৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement