স্টাফ রিপোর্টার: আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে শর্তাধীন আলোচনায় বসার প্রস্তাব পাঠাচ্ছে বামেরা। সোমবার তিন শরিকের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় আসন রফার পাশাপাশি এই শর্তাধীন আলোচনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে আলিমুদ্দিনে।
[শহিদদের রক্তে ভোট রাজনীতি! প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর]
আসন রফা নিয়ে সোমবার আলোচনার সময় তিন শরিককে বিমান বসু আগের মতোই জানিয়ে দেন কুড়িটির বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই সিপিএমের। বিমান বসুর এই কথার মাঝেই আরএসপির ক্ষিতি গোস্বামী জানিয়ে দেন, সিপিএমের অনুরোধে কংগ্রেসের সঙ্গে রফার স্বার্থে তাঁরা বহরমপুর আসনটিতে প্রার্থী দেবেন না। ক্ষিতিবাবুর এই বক্তব্যের পরই আলোচনার পরিবেশ অনেকটাই খোলামেলা হয়ে যায়। স্বস্তি প্রকাশ করেন বিমান বসু। বৈঠকে বিমান বসু বলেছেন,“কুড়িটির বেশি আসনে তাঁদের প্রার্থী দেওয়ার মতো অর্থ বা কর্মী নেই।” সূত্রের খবর, কংগ্রেসকে বারোটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে বামেদের পক্ষ থেকে। কিন্তু, কোন আসনগুলি ছাড়া হবে বা কোনগুলিতে সিপিএম প্রার্থী দেবে তা এদিনও শরিকদের কাছে স্পষ্ট করেনি সিপিএম। আবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রতেও যে সিপিএম প্রার্থী দেবে না তারও ইঙ্গিত মিলেছে এদিনের আলোচনায়। সিপিএম সূত্রে খবর, নকশালপন্থীদের কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি ছাড়া হবে। তবে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দু’টি যে ছাড়া হবে না, তা এদিনও আলোচনায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিমান বসু। পাশাপাশি অরাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করার বিষয়টিও এদিনের আলোচনায় উঠে আসে।
[বিয়াল্লিশে ৪২ চাই, কোর কমিটির বৈঠক থেকে লোকসভার মন্ত্র মমতার]
এদিনের আলোচনায় ফরওয়ার্ড ব্লক বারাসত, কোচবিহার ও পুরুলিয়া আসনে তাঁদের প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেয়। সূত্রের খবর, এই তিনটি কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী যথাক্রমে হরিপদ বিশ্বাস, গোবিন্দ রায় এবং বীরসিং মাহাতো। ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে এদিনও জোটের বিরুদ্ধে রীতিমতো সওয়াল করা হয়। তবে সেই যুক্তিকে খারিজ করেছে আরএসপি, সিপিআই নেতৃত্ব। দুই দলেরই দাবি,“কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতেই পারে সিপিএম। তবে, আসন রফার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময় শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে। সিপিআই নেতা স্বপন বন্দোপাধ্যায় বা মঞ্জু মজুমদারের যুক্তি, “কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা হবে। তাই, কংগ্রেস যেসব আসনে প্রার্থী দেবে সেখানে বামেরা যেমন প্রার্থী দেবে না, তেমনই কোনও নির্দলকেও সমর্থন করতে পারবে না কংগ্রেস। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস যাতে অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট বা রফায় না যায় তারও গ্যারান্টি চেয়েছে শরিকরা। শরিকদের আশঙ্কা হাইকম্যান্ডের হস্তক্ষেপে শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের সঙ্গে রফা হলে পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হবে। বেকায়দায় পড়বে বামেরা। তবে, বৃহস্পতিবারের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে যে কোনও আলোচনা হবে না তা একরকম স্পষ্ট আলিমুদ্দিনের কাছে।