গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস: গত চারদিনের তুলনায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) শারীরিক অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তবে বিপদ এখনও কাটেনি। বৃহস্পতিবার দুপুরের মেডিক্যাল বুলেটিনে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে এমনটাই জানালেন চিকিৎসক অরিন্দম কর।
বুধবারই সৌমিত্রবাবুর রেনাল ফাংশানের উন্নতির জন্য ডায়ালিসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম। বৃহস্পতিবার প্রথম পর্বের ডায়ালিসিস সম্পন্ন হয়েছে। তাতে ইউরিন আউটপুট কিছুটা হলেও বেড়েছে। মোট তিনটি ডায়ালিসিসের কোর্স হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। যার মধ্যে দ্বিতীয়টি বৃহস্পতিবারই করা হবে বলে জানিয়েছেন ডা. কর। নিউরোলজি এবং নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত কিংবদন্তি অভিনেতার শারীরিক অবস্থার খেয়াল রাখছেন। গতকাল থেকে এদিন বেলা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার চোখ খুলেছেন সৌমিত্রবাবু। আচ্ছন্নভাব এখনও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুটিং করতে গিয়ে কেন গোয়ার গ্রামকে জঞ্জালে ভরে দিচ্ছেন? করণ জোহরকে প্রশ্ন কঙ্গনার]
৬ অক্টোবর থেকে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা। করোনা (CorinaVirus) আক্রান্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্লাজমা থেরাপির পর তাঁর করোনা (COVID-19) রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই সঙ্গে চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা জানান, সৌমিত্রর শরীরে সমস্যা বাড়িয়েছে কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি। সেই কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথিই এখনও চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। বুধবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেলে সূচক ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। তা বৃহস্পতিবারও একই রয়েছে। রক্তচাপও স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন ডা. কর। তবে ডায়ালিসিসের ফলে বর্ষীয়ান অভিনেতার শরীরের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ করে গিয়েছে। যার ফলে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। তা ছাড়া শরীরে আর বাড়তি কোনও সংক্রমণের হদিশ মেলেনি। অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ চালিয়ে যাচ্ছেন বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।