সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবলে যুগাবসান। শুক্রবার চিরতরে বিদায় নিলেন কিংবদন্তি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় (Pradip Kumar Banerjee)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। প্রবাদপ্রতিম ফুটবলারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা তথা দেশের ফুটবল মহল।
বয়সের ভারে অনেকটাই নুইয়ে পড়েছিলেন পিকে। সঙ্গে ছিল স্নায়ূর সমস্যা। গত ২১ জানুয়ারি তাঁর শারীরিক সমস্যা বাড়ে। তাঁকে ভরতি করতে হয় হাসপাতালে। যদিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তবে দিন পনেরো পর ফের অসুস্থ হয়ে ভরতি হন হাসপাতালে। প্রায় মাসখানেক সেখানেই ছিলেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। দ্রুত তাঁকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দাদাকে হারিয়ে শোকবিহ্বল ভাই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: করোনায় বাতিলের পথে আই লিগ, এপ্রিলের গোড়াতেই মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা]
ফুটবল জীবনে অনবদ্য সাফল্যের পাশাপাশি কোচ হিসেবেও দুর্দান্ত সফল পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুটবলার হিসেবে ইস্টার্ন রেলের জার্সি গায়ে খেলেছেন পিকে। ১৯৫৮ সালে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টার্ন রেলের সদস্য ছিলেন। কোনও বড় ক্লাবে না খেললেও জাতীয় দলের হয়ে একাধিক সাফল্য রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ১৯৬০-য় রোম অলিম্পিকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালের এশিয়ান গেমসেও ছিলেন ভারতীয় দলে। এর মধ্যে ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতে ভারত। তবে শুধু ফুটবলার হিসেবে নয়, কোচ হিসেবেও তাঁর সাফল্যের তালিকা দীর্ঘ। তাঁর পেপ টকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেক ফুটবলার। তাঁর প্রয়াণে ভারতীয় ফুটবলে তৈরি হল বিরাট শূন্যতা।
[আরও পড়ুন: ‘১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাতিল সমস্ত খেলার ইভেন্ট’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর]
এদিন প্রথমে তাঁর মেয়ে জানান, বাবা ম্যাসিভ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তিনি বেঁচেছিলেন। তবে পরে দুপুর ২ টো আট মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।
The post ভারতীয় ফুটবলের একটি যুগের অবসান, প্রয়াত কিংবদন্তি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on Sangbad Pratidin.