সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেরি আওয়াজ হি পহেচান হে…। সোমবার কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ভূপিন্দর সিংয়ের (Bhupinder Singh) প্রয়াণে অনুরাগীরা যেন ফের টের পেলেন এই কথা। তাঁদের মনে অনুরণিত হচ্ছে সেই চিরন্তন গানের লাইন। সোমবার বিকেলে আওয়াজ থেমে গেল ভূপিন্দরের। শুধু ‘মেরি আওয়াজ হি পহেচান হে’ এই গানই নয়, ভূপিন্দরের গান শুনে এক অদ্ভুত মুগ্ধতা কাজ করত। ‘এক অকেলা ইস শহর মে’, ‘দিল ঢুন্ডতা হ্যায় ফির ওয়াহি’, গানগুলোতেও যে ছাপ রেখে গিয়েছেন ভূপিন্দর সিং, তা চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।
ভূপিন্দর সিংয়ের বয়স হয়েছিল ৮২। কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন সংগীত শিল্পী। করোনা আক্রান্তও হয়েছিলেন। তারপর শারীরিক সমস্যা আরও বেড়েছিল। সোমবার বিকেলে হঠাৎই থেমে যায় শিল্পীর জীবন। থেমে যায় তাঁর গান।
বলিউড সিনেমায় একের পর এক স্মরণীয় গান দিয়ে গিয়েছেন ভূপিন্দর। ‘দো দিওয়ানে শহর মে’, ‘এক অকেলা ইস শহর মে’, ‘থোড়ি সি জমিন, থোড়া আসমান’, ‘দুনিয়া ছুটে, ইয়ার না ছুটে’, ‘করোগে ইয়াদ তো’র মতো গান সংগীতপ্রেমীদের মনে চিরকাল থেকে যাবে। শুধু হিন্দি সিনেমা নয়, বাংলা সিনেমাতেও গান গেয়েছেন ভূপিন্দর। মিঠুন চক্রবর্তী ও দেবশ্রী রায় অভিনীত ‘ত্রয়ী’ ছবির ‘কবে যে কোথায় কী যে হল ভুল’ আজও উজ্জ্বল রয়েছে সংগীতপ্রেমীদের মনে।
সোমবার মাঝরাতে মুম্বইয়ের ওসিওয়াড়া শ্মশানেই সম্পন্ন হয় ভূপিন্দর সিংয়ের শেষকৃত্য। তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতশিল্পী মিতালি সিং জানিয়েছেন, ”কিছু দিন ধরেই ইউরিনারি সমস্যা-সহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন ভূপিজি।”
[আরও পড়ুন: ফের অতীত রেকর্ড ভেঙে সোনা জয় ছেলে বেদান্তের, উচ্ছ্বসিত মাধবন, দেখুন ভিডিও ]
শিল্পীর প্রয়াণে সংবাদমাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস। তাঁর কথায়, ”ভূপিন্দরজি আমার বড় দাদা ছিলেন। ওর গান গাওয়ার স্টাইল সবার থেকে আলাদা। ওর প্রয়াণ সঙ্গীতজগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের অভিভাবকহীন করে তুলল। ”
পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম হয় ভূপিন্দর সিংয়ের। ছোটবেলা থেকেই গিটার এবং বেহালা শিখেছিলেন। কিশোর কুমার এবং মহম্মদ রফির সঙ্গে বেশ কয়েকটি গান গেয়েছিলেন ভূপিন্দর। এক সাক্ষাৎকারের ভূপিন্দর জানিয়েছিলেন, ‘আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, আমি যদি গায়ক হই, তাহলে সম্মান পাব না। তাই গান ছেড়ে দিয়েছিলাম এক সময়। তার পরিবর্তে গিটার শেখা শুরু করি। গিটারে শাস্ত্রীয় সংগীত ও সিনেমার গান বাজাতাম। সেখান থেকেই আবার গানে ফেরা।’ ভূপিন্দরের প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ সংগীতমহল।