সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু জল্পনা-কল্পনার পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের কার্যবিবরণী প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। মজার কথা হল, বাজারে হাজার জল্পনা-গুঞ্জন থাকলেও বিশেষ অধিবেশনের কার্যবিবরণীতে বিতর্কিত বা চমকপ্রদ তেমন কিছুই নেই। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে কংগ্রেস (Congress)। দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের ধারণা, বিতর্কিত বিলগুলি এখন লুকিয়ে রাখছে কেন্দ্র। একেবারে শেষ মুহূর্তে সেগুলি প্রকাশ করা হবে।
বুধবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের (Parliament Special Session) কার্যবিবরণী ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ভারতীয় গণতন্ত্রের ৭৫ বছরে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হবে ওই বিশেষ অধিবেশনে। আসলে এই বিশেষ অধিবেশনেই পুরনো সংসদকে বিদায় জানিয়ে নতুন সংসদে প্রবেশ করবে সরকার। আলোচনার পাশাপাশি বিশেষ ওই অধিবেশনে চারটি বিল পেশ করবে সরকার। সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বিল। সেই সঙ্গে পোস্ট অফিস বিল, অ্যাডভোকেট সংশোধনী বিল এবং প্রেস ও রেজিস্ট্রেশন বিল পেশ হবে।
[আরও পড়ুন: G-20 সম্মেলন ভারতের সাফল্য, বিজেপি সদর দপ্তরে মোদিকে সংবর্ধনা, ভাসলেন পুষ্পবৃষ্টিতে]
সরকারের প্রকাশ করা এই ‘আপাত নিরীহ’ কার্যবিবরণীতে ভরসা নেই কংগ্রেসের। দলের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন,”অবশেষে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) চিঠির পর চাপে পড়ে মোদি সরকার বিশেষ অধিবেশনের এজেন্ডা প্রকাশ করল। কিন্তু যে এজেন্ডা প্রকাশ করা হয়েছে সেটা প্রত্যাশার তুলনায় কিছুই না। আমি নিশ্চিত আসল বিলের গ্রেনেড আস্তিনে লুকিয়ে রেখেছে। একদম শেষ মুহূর্তে সেগুলো বের করা হবে। পর্দার পিছনে অন্য কিছুই আছে।” অর্থাৎ কংগ্রেসের আশঙ্কা যেসব বিল আসা নিয়ে জল্পনা ছিল সেগুলো শেষ মুহূর্তে আস্তিন থেকে বের করতে পারে মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের গুরুত্ব বুঝেই আমাকে আটকানোর চেষ্টা: অভিষেক]
এদিকে বিশেষ অধিবেশনে যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বিল পেশ হবে, সেটার বিরোধিতা করবে বিরোধী শিবির। কিছুদিন আগেই কেন্দ্র একটি অর্ডিন্যান্স পেশ করে জানায়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে ভূমিকা থাকবে না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং কেন্দ্রের এক মন্ত্রী। কংগ্রেস জানিয়েছে, ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে এই বিলের বিরোধিতা করবে।