সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেক্সিকোর সঙ্গে আর্জেন্টিনার (Argentina) ম্যাচে ফের গোটা বিশ্ব দেখেছে কেন তাঁর খেলা দেখার জন্য পাগল কোটি কোটি দর্শক। দুই ডিফেন্ডারকে ঘোল খাইয়ে গোল করে যেভাবে দলকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছেন লিওনেল মেসি (Leo Messi), তা একবার দেখলে ভোলা কঠিন। মারাদোনার উত্তরসূরিকে নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে মেসির বুটজোড়ার ছবি। এই জুতো পরেই তিনি খেলছেন কাতার বিশ্বকাপে (FIFA World CUP 2022)। এই বুট পরেই মেক্সিকোর জালে বল জড়িয়েছেন। সোনালি এই বুটটির রয়েছে অনেক বিশেষত্ব।
আর্জেন্টেনীয় অধিনায়কের বুটজোড়ার ছবি শনিবারই শেয়ার করা হয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের তরফ থেকে। তারপর থেকেই তা ভাইরাল। জিতে নিয়েছে অসংখ্য ফ্যানদের হৃদয়। যে বুট বলে ছুঁইয়ে মাঠে কবিতা লেখেন বিশ্বফুটবলের অপ্রতিরোধ্য জাদুকর, সেই বুটটি কম আকর্ষণীয় নয় বলেই মত তাঁদের।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জামাতের ৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া পুলিশ]
কী বিশেষত্ব এই বুটজোড়ার? প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে তা হল সেখানে খোদাই করা মেসির তিন ছেলের নাম ও জন্মতারিখ। ডান বুটে রয়েছে থিয়োগো ও মাতেওর নাম-জন্মতারিখ এবং বাঁ বুটে রয়েছে মেসির কনিষ্ঠ পুত্র সিরোর নাম-জন্মতারিখ। সেই সঙ্গে সেখানে লেখা ‘আন্তো’। যা মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লার নামের সংক্ষিপ্ত চেহারা।
এছাড়াও দুটি জুতোয় লেখা ‘১০’। তাঁর জার্সির নম্বরের মতোই। আর বাঁ জুতোয় অ্যাডিডাস এবং ডান জুতোয় ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের লোগোর ছাপ। সোনালি রঙের বুটে সাদা ও নীলের ছোঁয়াও রয়েছে, যা আর্জেন্টিনার জার্সির রং। সব মিলিয়ে বুটজোড়ার বিশেষত্ব রাতারাতি তাদেরও ভাইরাল করে তুলেছে, তাদের মালিকের মতোই।
[আরও পড়ুন: আদানির কপালের ভাঁজ আরও চওড়া, বন্দরের কাজ থমকে, ট্রাকে পাথর ছুঁড়লেন আন্দোলনকারীরা]
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে গেলেও পরের ম্যাচ জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে গোল করে নয়া কীর্তি গড়েছেন এলএম১০। ফুটবলের রাজপুত্রর মতোই এদিন বিশ্বকাপের (Qatar World Cup) ২১তম ম্যাচ খেলেন তিনি। আর সেই সঙ্গে অষ্টম গোলটিও করেন। বিশ্বকাপে সমসংখ্যক ম্যাচে মারাদোনার পাশেও লেখা আটটি গোল। ফুটবলের ঈশ্বরের সঙ্গে রাজপুত্রের সাফল্য এইভাবে এক সরলরেখায় মিলে যাওয়ায় যারপরনাই খুশি আর্জেন্টেনীয় ফ্যানরা। শুধু আর্জেন্টিনীয়ই নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা নীল-সাদা ফুটবল দলটির সমর্থকরাও।