সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুরগির খাঁচায় আটকা পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল একটি চিতাবাঘ। প্রায় ৬ ঘণ্টা ওই খাঁচার ভিতরে সে বন্দি ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের মন্নারকাড এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছিল? ওই এলাকার বাসিন্দা ফিলিপ নামের এক ব্যক্তি আচমকাই মাঝরাতে একটি আওয়াজ শুনতে পান। তিনি খাঁচার ভিতর থেকে আওয়াজ বুঝতে পেরে দ্রুত সেটি বন্ধ করে দেন। খবর যায় বন দপ্তরে।
সকালে বন দপ্তরের কর্মীরা দেখতে পান চিতাবাঘটি (Leopard) একেবারেই নড়াচড়া করছে না। তারপরই ধরা পড়ে সেটি আর বেঁচে নেই। অথচ তার শরীরে সেই অর্থে আঘাতের কোনও চিহ্নই ছিল না। কেবল থাবায় সামান্য চোটের দাগ ছিল।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতে জন্মানো সকলেই হিন্দু, আমাকেও তাই বলতে পারেন’, মন্তব্য কেরলের রাজ্যপাল আরিফের]
বন দপ্তরের এক সিনিয়র আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ”ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে অতক্ষণ বন্দি থাকার ফলে শকে পড়ে মারা গিয়েছে চিতাবাঘটি। প্রাণীটির শরীরে ধরা পড়া চোটআঘাতের চিহ্নে তেমন সন্দেহজনক কিছু পাওযা যায়নি।” আতঙ্ক থেকেই সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন ওই আধিকারিক। পরে চিতাবাঘটির শেষকৃত্যও সম্পন্ন করা হয় বন বিভাগের তরফে।
প্রসঙ্গত, চিতাবাঘকে প্রায়-বিপদগ্রস্ত প্রাণীর তালিকায় ধরা হয়। মূলত শিকারের অভাব, চোরাশিকার ও বাসস্থান ধ্বংসের মতো কারণের ফলেই সারা পৃথিবীতেই দ্রুত কমে আসছে এই শ্বাপদ প্রজাতির প্রাণী। আর সেই হার বেশ আশঙ্কাজনক। বহু ক্ষেত্রেই শিকার ধরতে খিদের জ্বালায় এরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সেই সময় বহু ক্ষেত্রেই মানুষের হাতে প্রাণ হারাতে দেখা যায় তাদের। এক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে। চিতাবাঘটির উপস্থিতির আন্দাজ পেতে আতঙ্কিত ব্যক্তিটি খাঁচার দরজা আটকে দেন। আর সেখানেই আটকে পড়ে আতঙ্কিত অবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক অস্থিরতায় প্রাণ খোয়াল চিতাবাঘটি।