ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: খাস কলকাতায় (Kolkata) রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হল চিতাবাঘের চামড়া। চিতাবাঘের (Leopard) লেজও মিলেছে বলে খবর। সোমবার বিকেলের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
ক্রিক রো এলাকার ডেন্টাল কলেজের পিছনের দিকের গলির একটি ডাস্টবিনের পাশে চাদরে মোড়া অবস্থায় চিতাবাঘের ছাল পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে মুচিপাড়া থানায় খবর দেন তাঁরা। এর পর খবর যায় ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলে। কে বা কারা রাস্তার ধারে বাঘের ছাল ফেলে রেখে গিয়েছিল, তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে সেলের আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: আর জি করে অতিমারী আইন প্রয়োগ রাজ্যের, তবু আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা]
ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল সূত্রে খবর, ক্রিক রোয় চাদরে মুড়ে চিতাবাঘের চামড়া ফেলে রাখা ছিল। এদের মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ ও অন্যটি অল্পবয়সি চিতাবাঘের চামড়া। সেই চামড়ায় কোনও নখ ছিল না। মনে করা হচ্ছে, নখগুলি আলাদাভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তিনটি লেজের টুকরোও উদ্ধার হয়। সেই বাঘগুলির চামড়া আলাদাভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। তাদের দাবি, চামড়া ও লেজের দাম কয়েক লক্ষ টাকা।
কেউ বা কারা বাঘের চামড়া পাচার করার উদ্দেশে কলকাতায় এনেছিল। কোনও কারণে তা করতে না পারায় চামড়া এবং লেজ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। আর যারা এ কাজ করেছে তাদের কাছে আরও বাঘের চামড়া রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের খোঁজ শুরু করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিন’, সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনকে আরজি কলকাতার ইসকনের]
পাচারকারীরা কলকাতাকে ট্রান্সজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে। এখান থেকে বিহার, নেপালে চামড়া, লেজ পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। এর আগেও বহুবার কলকাতার মাধ্যমে একাধিক বন্যপ্রাণী পাচার করেছে পাচারকারীরা। এবারও নেপাল, উত্তরবঙ্গ কিংবা বিহার বা ঝাড়খণ্ডে এই চামড়া পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।