সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২মে লঞ্চ হয়েছিল LIC’র আইপিও (IPO)। পরে ১৭ মে বাজারে আসে সেই শেয়ার। কিন্তু শুরু থেকেই পড়তে থাকে শেয়ারের দাম। পড়তে পড়তে রবিবার সর্বনিম্ন দরে পৌঁছেছে জীবনবিমার শেয়ারের দর। এদিন এলআইসির শেয়ারের মূল্য ৬৬১ টাকা ৩০ পয়সা। যা থেকে পরিষ্কার, এই নয়া পদক্ষেপ, যাকে বহু বিশেষজ্ঞ ‘এলআইসি ২.০’ আখ্য়া দিচ্ছিলেন, তা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত ‘ফ্লপ’।
দেখা গিয়েছে, এবছরের আইপিওগুলির মধ্যে সম্পদ ধ্বংসকারী হিসেবে শীর্ষে রয়েছে জীবনবিমার শেয়ার। যার ধাক্কায় বাজার থেকে উধাও ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, গত ২ মে আইপিও চালু হওয়ার পরে প্রথম দু’দিন শুধু বড় মাপের বিনিয়োগকারী বা অ্যাঙ্কর ইনভেস্টররাই দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থার শেয়ার কেনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আওতায় আসে ৪ মে। চালু ছিল ৯ মে পর্যন্ত।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রকে পিষে মারা হয়েছিল’, ফের ‘জরুরি অবস্থা’ নিয়ে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মুখ খুললেন মোদি]
পরে ১৭ মে বাজারে আসে সেই শেয়ার। শুরুতে এর দর ছিল ৯৪৯ টাকা। কিন্তু বাজারে আসার পরেই এলআইসির শেয়ারের দাম ৮৬৭.২০ টাকায় নেমে এসেছিল। তখন থেকেই ইঙ্গিত ছিল। পরবর্তী সময়ে দ্রুতই নামতে থাকে শেয়ারের দর। কমতে কমতে এবার তা মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থায়। সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে দর। স্বাভাবিক ভাবেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে কী করবেন বিনিয়োগকারীরা? বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, ভারতে বিমার বাজার এখনও শৈশবের স্তরে রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে শেয়ারের দর পড়তির দিকে থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে এলআইসিতে বিনিয়োগ ভুল পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়তো উচিত হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে ভরসা রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে একথাও অস্বীকার করা যায় না। বাড়তে থাকা সুদের হার ও বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির ফলে ভারতীয় শেয়ারের জন্য বিদেশি চাহিদা ধাক্কা খেয়েছে। ফলে আপাতত এই পরিস্থিতি বদলানোর সম্ভাবনা নেই বলেই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।