সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম কি আর বয়সের তোয়াক্কা করে? ভালবাসার জোয়ারে ভেসে যায় মন। মাত্র পাঁচ মিনিটেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা যায়। এমনটাই করেছেন আগ্রার মাতাপ্রসাদ শেঠিয়া এবং মুম্বইয়ের ভাবেশ্বরী দেবী। আশি বছরের মাতাপ্রসাদ গাঁটছড়া বেঁধেছেন সত্তর বছরের ভাবেশ্বরী দেবীর সঙ্গে। বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটানোর অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা।
বাস্তব মাঝে মধ্যে সিনেমার কাহিনিকেও হার মানায়। এমনই এক প্রেমের কাহিনি মাতাপ্রসাদ ও ভাবেশ্বরী দেবীর। খাদ্যসুরক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন মাতাপ্রসাদ। অনেকদিন আগেই স্ত্রীকে হারিয়েছেন। তিন ছেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অবসর নেওয়ার পর নানা সমাজসেবা মূলক কাজ করেন মাতাপ্রসাদ। ফেসবুকে নিজের এমনই এক কাজের ভিডিও আপলোড করেছিলেন। সেই ভিডিও দেখতে পান ভাবেশ্বরী দেবী। সেখান থেকেই দু’জনের প্রেমের সূত্রপাত।
[আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে বিয়ের আসরে এ কী কাণ্ড! বোনের বরের গলায় মালা দিলেন কনে ]
মুম্বইয়ের এক কলেজের অধ্যক্ষা ছিলেন। বহু বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। এক মেয়ে ছিল। কিন্তু মৃত্যু তাঁকেও ছিনিয়ে নেয়। একাকীত্বে দিন কাটত মুম্বইয়ের ভরসোভার বাসিন্দার। মাতাপ্রসাদের ভিডিও দেখে মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন ভাবেশ্বরী দেবী। মাতাপ্রসাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। সেখান থেকেই ভাললাগার সূত্রপাত।
উজ্জয়িনীতে দেখা করেন আশি বছরের বৃদ্ধ এবং সত্তর বছরের বৃদ্ধা। প্রথম দেখাতেই প্রেম। একে অন্যকে মন দিয়ে বসেন তাঁরা। মাত্র পাঁচ মিনিটেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত এপ্রিল মাসে বিয়ে সারেন মাতাপ্রসাদ ও ভাবেশ্বরী দেবী। যেটুকু জীবন বাকি আছে তা একসঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ভাবেশ্বরী দেবীকে নিয়ে নিজের গ্রামে গিয়ে থাকছেন মাতাপ্রসাদ। সেখানেই নির্মল প্রেম সোসাইটি নামের এক বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলেছেন তাঁরা। বৃদ্ধাবস্থায় যাঁরা একাকীত্বে ভোগেন, তাঁদের জন্য নিশ্চিন্তের আশ্রয় হয়ে উঠবে এই আশ্রম। এমনটাই বিশ্বাস সদ্য বিবাহিত দম্পতির। তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।