সন্দীপ্তা ভঞ্জ: সামনেই ক্রিসমাস। এখন থেকেই অনেকে বড়দিন উদযাপনের প্ল্যানিং শুরু করে দিয়েছেন। শহরের বাইরে কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করছেন, কিন্তু নিজের পছন্দ করা জায়গাতে বুকিং পাচ্ছেন না? দেরি করে বুকিং করার তোড়জোড় শুরু করায় ঝামেলায় পড়েছেন? এদিকে পরিবারের সবাই অন্যরকমভাবে ক্রিসমাসটা কাটাতে চাইছেন? একদম ভাববেন না! বড়দিনে বেড়ানোর অফ বিট ঠিকানা হতে পারে উত্তরবঙ্গের ডুকা ভ্যালি।
বাংলার পর্যটনে এখনও সেভাবে উঠে আসেনি এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। তবে ডুয়ার্সে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই জায়গাটি। সপ্তাহান্তে বাইক রাইডে বেরিয়ে রাতে থেকে পিকনিক করা যায়। কালিম্পংয়ের কাছেই। আলগাড়া থেকে মোটে ১১ কিমি.। প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে ডুকা ভ্যালি হোমস্টে। এমন নির্জন, নিরিবিলি স্থানে গিয়ে দিন দুয়েক অনায়াসে কাটিয়েই আসতে পারেন। সবুজে ঘেরা চারদিক। দু দিকে চোখ গেলেই চেখে পড়বে একেকটা পাহাড়ের রেঞ্জ।
[আরও পড়ুন: র্যাফটিং, ক্যাম্পিং থেকে হাইকিং! উত্তরের টি টুরিজমে মজে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা]
কীভাবে যাবেন? এনজিপি থেকে গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। খরচ পড়বে ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা। ইতিমধ্যেই ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারের বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। লাভা হয়েও যেতে পারেন। দূরত্ব মোটে ২৪ কিলোমিটার। দিন দুয়েক থাকলে ডুকা ভ্য়ালি থেকেই ঘুরে আসতে পারেন লাভা, রিশপ, দাঁড়াগাঁও, কোলাখাম, রামধুরা, মারুনগাঁওয়ের মতো জায়গাগুলি। উল্লেখ্য, এই ডুকা ভ্যালিতে এক রাত থেকে কিন্তু সিল্ক রুটেও যেতে পারেন। খরচ কীরকম পড়বে? ডুকা ভ্যালিতে জনপ্রতি দিনে খরচ ১২০০-১৩০০ টাকা। কটেজে থাকলে খরচ ১৪০০ টাকা। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার এবং সন্ধের স্ন্যাকস এই প্যাকেজের মধ্যেই থাকছে। চাইলে আলাদা স্ন্যাকস অর্ডার করতে পারেন। তবে এটা প্যাকেজের বাইরে পড়বে।