সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ বিচারকের নামেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা! চুরির দায়ে জামিন অযোগ্য ধারায় 'ওয়ারেন্ট ইস্যু' হল জজের নামেই। 'চোর' ধরতে না পেরে সাসপেন্ড হলেন থানার সাব-ইন্সপেক্টর। শোরগোল থানায়। শুরু হয়েছে বিচারবিভাগীয় তদন্তও।

ব্যাপারটা ঠিক কী? কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের একটি আদালত চুরির দায়ে অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো কাজ শুরু করে স্থানীয় থানা। দায়িত্ব প্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর নিজের কাজ শুরু করেন। আর তাতেই বিপত্তি!
'চোরে'র নামের জায়গায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় নাম ছাপা হয় আসামিকে ধরার নির্দেশ দেওয়া বিচারকেরই। বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল শুরু হয়। তদন্তে নামে উচ্চপদস্থ কর্তারা। সাসপেন্ড করা হয় সাব-ইন্সপেক্টরকে। তাতেই বোঝা যায় ভুলবশত চোরের নাম লেখার বদলে বিচারকরে নাম লেখা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায়।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এই ভুল গুরুতর। এই ভুলের মাফি হয় না। তিনি বলেন, "সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" যে বিচারকের নাম ভুল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ছাপানো হচ্ছে তিনি কী বলছেন? এই ভুল মারাত্মক, নিন্দনীয়। তবে এই যতকাণ্ড যাকে নিয়ে সেই 'চোর'কে অবশ্য শেষ পর্যন্ত ধরা যায়নি। উলটে সাসপেন্ড হলেন পুলিশকর্মী।