সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দু’বছরে আমাদের জীবনের দৈনন্দিন অংশ হয়ে গিয়েছে মাস্ক (Mask)। অতিমারীকে (Pandemic) রুখতে যাকে এক অবশ্যম্ভাবী হাতিয়ার বলা হয়েছে। নিঃসন্দেহে সংক্রমণ রুখতে পথেঘাটে সর্বত্র মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ানোটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই জরুরি কাজটি বেশ ঝক্কির। এই পরিস্থিতিতে এবার সামনে এল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) এক আশ্চর্য মাস্ক। এর নাম ‘কোস্ক’। চেনা মাস্কের পথে না হেঁটে এই মাস্ক নাক-মুখ নয়, ঢেকে রাখে কেবল নাকটুকুই! যা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেট দুনিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা অ্যাটম্যান তৈরি করেছে এই মাস্ক। কোরিয়ান ভাষায় নাককে বলা হয় ‘কো’। তাই এই অভিনব মাস্কের নাম রাখা হয়েছে কোস্ক, কেননা এটি নাকটুকুকেই ঢেকে রাখে কেবল। মাস্ক পরে থাকা অবস্থায় খাওয়া দাওয়া করা যায় না। এই মাস্ক পরে থাকলে দিব্যি খাওয়া দাওয়া করা যাবে। সেটাই ফলাও করে বলা হয়েছে বিজ্ঞাপনে।
[আরও পড়ুন: বক্তৃতা শুনে মাথাগরম হয়ে গিয়েছিল, বলছে ওয়েইসির গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তরা]
কেবলই কি খাওয়া দাওয়া? ঠোঁট আড়ালে না থাকায় সুন্দরীরা লিপস্টিক লাগাতে পারবেন। সাধারণত মাস্ক পরলে যেভাবে কেবল চোখটুকুই বাইরে থাকে মুখের, এক্ষেত্রে তা হয় না। এই মাস্ককে বলা হচ্ছে কেএফ৮০ মাস্ক। এখানে কেএফ বলতে ‘কোরিয়ান ফিল্টার’। দাবি, ০.৩ মাইক্রন পর্যন্ত খুদে জীবাণুদেরও ৮০ শতাংশ পর্যন্ত রুখতে সক্ষম এই মাস্ক।
কিন্তু এতরকম সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বহু নেটিজেনই মানতে পারছেন না এই মাস্ককে। তাঁদের দাবি, এই মাস্কে যেহেতু মুখ খোলা তাই সংক্রমণ রোখার পথটা যেন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। সুতরাং এমন মাস্ক পরা আর না পরার মধ্যে তফাত নেই। তবে অনেকেই আবার অভিনব এই মাস্ককে স্বাগত জানাচ্ছেন। এই ভাবেই নয়া এই মাস্ককে নিয়ে বিতর্কে সরগরম নেট ভুবন। তবে আরও একটি মতও রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, এটা আসলে মাস্ককে ব্যাঙ্গ করেই বানানো।