সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার বার প্রস্রাব পাচ্ছে? একটু হাঁচি কিংবা কাশি হলেও যেন সমস্যা হচ্ছে। প্রস্রাবের সময় জ্বালা অনুভব করছেন? তাহলেই সাবধান হোন। এগুলি গর্ভাশয়ে হার্নিয়ার মতো জটিল রোগের উপসর্গ হতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় ‘পেলভিক অর্গ্যান প্রোলাপস’ (Pelvic Organ Prolapse)।
ইউটেরাস, ব্লাডার ও রেকটামকে পেলভিক অর্গ্যান বলা হয়। এগুলিই পেলভিক ফ্লোর ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই পেলভিক ফ্লোর কোনও কারণে দুর্বল হয়ে গেলেই সমস্যা শুরু হয়। সাধারণত ষাট কিংবা তার বেশি বয়সের মহিলাদের শরীরে ‘পেলভিক অর্গ্যান প্রোল্যাপস’ দেখা যায়। পেলভিক মাসল দুর্বল হলে কম বয়সের মহিলাদেরও সমস্যা হতে পারে। এ নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুণা তাঁতিয়া।
‘পেলভিক অর্গ্যান প্রোল্যাপস’ হওয়ার কারণ কী?
- একাধিকবার সন্তানের জন্ম দিলে এমনটা হতে পারে।
- ডেলিভারির সময় ভ্যাকুউম ক্যাপ ব্যবহার করলেও সমস্যায় পড়তে পারেন।
- খুব বেশি পরিশ্রম করলে কিংবা কানেক্টিভ টিস্যুর সমস্যা থাকলে পেলভিক অর্গ্যান প্রোল্যাপস’ হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বা খুব বেশি সময় ধরে কাশি হলেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- হিস্টেরেক্টমি অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে গাফিলতি থাকলেও হয় সমস্যা।
[আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে ধাক্কা! ডাহা ফেল অক্সফোর্ডের নাকে দেওয়া টিকা]
পেলভিক অর্গ্যান প্রোল্যাপস’-এর উপসর্গ –
- প্রস্রাব সম্পূর্ণ হয়নি মনে হওয়া কিংবা মূত্রত্যাগের সময় জ্বালা অনুভব হওয়া। বারবার প্রস্রাব পাওয়া।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার এবং পিঠে অত্যন্ত পরিমাণে যন্ত্রণা হওয়া।
- যোনি থেকে লাম্পের মতো অংশ বেরিয়ে আসা কিংবা অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া।
- যোনিতে অতিরিক্ত ভিজে ভাব থাকা ও হাঁটাচলায় অসুবিধা হওয়া।
কীভাবে এই রোগ সারানো সম্ভব?
সবার প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক চেক-আপের পর চিকিৎসক সাধারণত আলট্রাসোনোগ্রাফি বা এমআরআই করার কথা বলেন। প্রয়োজনে রক্ত কিংবা মূত্রের পরীক্ষাও করাতে হতে পারে। সমস্যা গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অল্প সমস্যা হলে এক্সারসাইজের মাধ্যমেই সারিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে সমস্যা গুরুতর হলে অস্ত্রোপচার করাতে হতে পারে।