সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রামীণ এলাকায় সহজে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হচ্ছে মেডিক্যাল বাস (Medical Bus)। পূর্ব ভারতের বৃহত্তম ‘হাসপাতাল অন হুইলস’ (Hospital on Wheels) চালু হচ্ছে এবার। লোটাস টিএমটি মেডিক্যালের এই বাসটির দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট। যে বাসে থাকবেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী। মিলবে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা। বিডিজি রমেশ গয়াল সেবা সংস্থা এবং আনন্দলোক হাসপাতাল (সল্টলেক)-এর যৌথ উদ্যোগে গ্রামের দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এই বাস। রবিবার মোবাইল মেডিক্যাল বাসের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু প্রমুখ।
মেডিক্যাল বাসের ভেতরেই থাকছে চোখ, দাঁত, নাক-কান-গলার অসুখের চিকিৎসার ব্যবস্থা। এছাড়াও বাসেই প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি, সাধারণ ওপিডি, ইসিজি এবং এক্স-রে পরিষেবা পাওয়া যাবে। যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের মোবাইল হাসপাতাল থেকে ওষুধ ও চশমা দেওয়া হবে। নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসকরা দুঃস্থদের পরামর্শ দেবেন। প্রথমবার বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ১০০ টাকায় চশমা দেওয়া হবে। ২০ টাকার বিনিময়ে প্যাথলজি, ইসিজি এবং এক্স-রে পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাসের ভিতরে ৪ জন ডাক্তার, ল্যাব এবং এক্স-রে টেকনিশিয়ান এবং একজন রোগী পরামর্শদাতা থাকবেন সব সময়। তাঁরাই প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেবেন।
[আরও পড়ুন: SSC চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ কুণাল ঘোষের, নিয়োগ নিয়ে আশ্বস্ত আন্দোলনকারীরা]
এই বিষয়ে গয়াল গ্রুপের চেয়ারম্যান রমেশ চাঁদ গয়াল বলেন, “বাসটি চালু করার পিছনে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বঞ্চিত মানুষের সেবা করা। অল্প টাকায় প্রযুক্তির সুবিধা দেওয়া গ্রামের মানুষকে। গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে চাই আমরা। গরিব মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে তালমিলিয়ে কাজ করতে চাইছি”।
[আরও পড়ুন: পুলিশের ‘অত্যাচারে’ হাতে ‘চোট’, তবুও দমছেন না, সুকান্তর টুইটের পালটা দিলেন কুণাল]
সেবা সংস্থার ম্যানেজিং ট্রাস্টি অলোক গয়াল বলেন, “এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল মূল্য-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রচার করা এবং বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া। এছাড়াও লক্ষ্য অপ্রচলিত স্থানে চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা। এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন লোকদের কাছে পৌঁছনো।”