কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: স্কুল ঢুকতেই হাতের পাঁচটা আঙুলে সম্প্রীতির ছাপ, পাশেই দেওয়ালে আঁকা স্কুলের পরিচয়-সহ অ আ ক খ নিয়ে নানা আঁকিবুঁকি। এবার স্কুলের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরতে ‘কিউ আর কোড’ চালু হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙার আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ৭৫ বছরের স্কুলের ইতিহাস, বর্তমান সুযোগসুবিধা সবকিছুই রয়েছে ওই কিউআর কোডে (QR Code)। মোবাইলে স্ক্যান করলেই অভিভাবকরা পেয়ে যাচ্ছেন স্কুলের সমস্ত তথ্য। জেলায় এই প্রথম কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।
প্রযুক্তিকে (Technology) কাজে লাগিয়ে হোটেল, রেস্তরাঁর যাবতীয় মেনু-সহ নানা তথ্য তুলে ধরছে ‘কিউ আর কোড’ (কুইক রেসপন্স কোড)। সাদাকালো পিক্সেলে ভরা একটি বর্গাকার বাক্সকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে স্ক্যান (Scan) করলেই যাবতীয় তথ্য চলে আসে। এবার সেই ‘কিউ আর কোড’ চালু করল বেলডাঙার আন্ডিরণ ৩০ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘কিউ আর কোড-এ প্রাক প্রাথমিকের ৩টি বই যথাক্রমে কাটুম কুটুম, মজারু ও বিহান ধরে রাখা হয়েছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির সমস্ত পাঠ্য বইও রয়েছে সেখানে।”
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিতে পারবে ‘ব্রাত্য’ ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থী? সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার বসল আদালত]
এছাড়া বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থান, শৌচাগারের সুযোগ-সুবিধা, জল ধরো জল ভরো প্রকল্প, পুষ্টি বাগিচা প্রকল্প, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি, মাসভিত্তিক জন্মদিন, ঠাকুরমা-ঠাকুরদার ঝুলি, বিভিন্ন সমাজিক প্রকল্প, নির্মল বিদ্যালয় অভিযান, শ্রেণিকক্ষ, ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার, সারা বছরের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর, শিশুদের নাচ-গান-আবৃত্তি, প্রার্থনা সভা, শিশুদের ভর্তির রেজিস্ট্রার প্রায় ৭৫ বছরের যা ‘কিউ আর কোড’ স্ক্যান করলেই মোবাইলে (Mobile) দেখা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ৫৫ দিন কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন? ভবানী ভবনে লাগাতার জেরায় ‘ফাঁস’ করলেন শাহজাহান]
১৯৪৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সকল শিশুদের সব তথ্য রয়েছে সেখানে। এদিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বহু পুরস্কার পেয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত। এবার প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্যকে ‘কিউ আর কোড’-এ উপস্থাপন করলেন তিনি। যার ফলে কোনও তথ্যই হারিয়ে যাওয়ার বা যায়গার অভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় রইল না। প্রয়োজনে যে কোনও ব্যক্তিই বিদ্যালয়ের তথ্য, অনুষ্ঠান, পাঠ্যবই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এই প্রথম কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কিউ আর কোড’ চালু হল বলে দাবি করেছে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।