অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। চারপাশে শাল, সেগুনের ভিড়। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়। মাঝে লেক। মিরিকের সুমেন্দু লেকের এই দৃশ্য বহু ভ্রমণপিপাসুকেই কার্যত উন্মাদ করে তুলেছে। মিরিককে (Mirik) আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এতদিন শুধুমাত্র বোটিংয়ের সুব্যবস্থা ছিল। এবার ওই লেকেই শিকারায় চাপার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তার জন্য অবশ্য বেশি গাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে না কাউকেই।
পাহাড়ে পর্যটনকে আর্থিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসাবে ধরা হয়। সেই সুবাদে মিরিককে কেন্দ্র করেই পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে জিটিএ। নিরিবিলিতে দু-চারদিন কাটানোর জন্য সেখানে রয়েছে হোম স্টে। পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াতে কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো মিরিক লেকেও শিকারার ভাবনা।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির নামে অসমের চা, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানেন?]
জিটিএ’র পর্যটন বিভাগের সহ অধিকর্তা সুরজ শর্মা জানান, ইতিমধ্যেই মিরিকের সুমেন্দু লেকে একটি শিকারা পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। শিকারায় ৩০ মিনিট ঘুরতে খরচ পড়বে মাত্র ৫০০ টাকা। পর্যটকদের সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে শিকারায় একজন মাঝিরও থাকার কথা।
শিলিগুড়ি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথেই মিরিক পৌঁছনো সম্ভব। খরচও বিশেষ নয়। ইতিমধ্যে একটু বেলা বাড়লে বাড়ি থেকে বেরনো কার্যত দায় হয়ে গিয়েছে। কাঠফাটা রোদে নাভিশ্বাস প্রায় সকলেরই। তাই আর দেরি করবেন না। ইট-কাঠ-কংক্রিটের জীবন থেকে বিরতি নিন। বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ুন। পাড়ি জমান পাহাড়ে ঘেরা মিরিকে। সুমেন্দু লেকে শিকারায় চড়ুন। গাছপালা এবং পাহাড়ের ভিড়ে যে কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন যে সঞ্চয় করতে পারবেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।