বাবুল হক, মালদহ: ঘরের মাঠে বাইরের খেলোয়াড়ের দাপট! শীত মানেই দার্জিলিংয়ের কমলালেবু। কিন্তু পাহাড়ি সেই কমলা মালদহের বাজারে আসতে এখনও অনেক দেরি। সাধারণত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা দু'মাস বাজারে দার্জিলিংয়ের লেবু পাওয়া যায়। কিন্তু শীতের শুরুতেই মালদহের বাজারে দাপট দেখাচ্ছে নাগপুরের কমলালেবু, বিকোচ্ছেও দেদার। দাম কিন্তু কম নয়। প্রতি কেজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবু কিনে নিতে কার্পণ্য করছেন না খাদ্যরসিক বাঙালি।
তবে এর উলটোদিকও আছে। না জেনে শীতের এই কমলালেবু কিনে ঠকছেন অনেকে। নাগপুরের লেবুকেই দার্জিলিংয়ের কমলালেবু ভেবে কিনে নিচ্ছেন তাঁরা। যদিও বিক্রেতাদের দাবি, এই কমলা যে দার্জিলিংয়ের নয়, সেটা খদ্দেরদের নিশ্চিত করে বলেই দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা কিনছেন তাঁদের কথায়, “দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালে ক্ষতি কী? দার্জিলিংয়ের কমলা বাজারে না আসা পর্যন্ত নাগপুরই চলুক।"
মালদহ শহরের উপকণ্ঠে রবীন্দ্রভবনের কাছে ইংলিশবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি চত্বরে রয়েছে মূল ফলের আড়ত। সেখান থেকেই ফলমূল পৌঁছে যায় খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে। ফলের আড়তদাররা জানান, দার্জিলিং পাহাড়ের কমলালেবু মালদহের বাজারে আসতে এখনও দেরি আছে। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে মালদহের বাজারে তার আমদানি হবে। তার আগে নাগপুর থেকে এই লেবুগুলি আনা হচ্ছে।
শহরের সব বাজারেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক ফলের দোকান। রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ, রাজমহল রোড, রথবাড়ি মোড়, ফোয়ারা মোড়, অতুল মার্কেট এলাকায় অস্থায়ী প্রচুর ফলের দোকান রয়েছে। সেই সব দোকানেই নাগপুরের কমলালেবু রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে। মালদহ শহরের ফলবিক্রেতা সমিতির সদস্য উজ্জ্বল দাসের কথায়, "আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করি না। মালদহে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু সেটা যতদিন আসছে না, ততদিন নাগপুরের লেবুই বিক্রি হবে।"
