সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন (Farmers protest) সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে টুইটারে (Twitter)। এই অভিযোগ জানিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষকে ২৫৭টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে অনিচ্ছুক, এই যুক্তি দেখিয়ে সেগুলি বন্ধ করতে রাজি হয়নি জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে কোনও সমঝোতায় যেতে রাজি নয় তারা। এ ব্যাপারে রীতিমতো কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে মোদি সরকার। বুধবারই এক ভারচুয়াল বৈঠকে দ্বিচারিতা দেখানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে টুইটারের উপর।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেন্দ্র রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, যেভাবে বারবার এই অ্যাকাউন্টগুলিকে ডিলিট করার বিষয়ে দেরি করছে টুইটার, তাতে সরকারের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এবিষয়ে এখনও পদক্ষেপ করতে দেরি করলে টুইটারের শীর্ষ আধিকারিকদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে মোট ১ হাজার ১৭৮টি অ্যাকাউন্ট মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। অভিযোগ ছিল, খলিস্তানি ও পাক মদতপুষ্ট এই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়েছে। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে টুইটার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়। সেই ভারচুয়াল বৈঠকে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে ভারত। #Farmer genocide ইস্যুতে কেন্দ্রের অভিযোগ, জরুরি নির্দেশ সত্ত্বেও টুইটার ওই হ্যাশট্যাগ সরাতে দেরি করেছিল।
[আরও পড়ুন : ১১০০ ‘পাকিস্তানি’ টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের]
বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সোশ্য়াল মিডিয়ার অপব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।’’ প্রসঙ্গত, তিনি টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি না হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব তাঁর জায়গায় বৈঠকে অংশ নেন। এর আগে বুধবার সকালে টুইটারের তরফে জানানো হয়েছিল, আপাতত ৫০০ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে টুইটার। ওই অ্যাকাউন্টগুলি মাইক্রোব্লগিং সাইটের নিয়ম ভেঙেছে বলেও জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। অ্যাকাউন্ট ইউজারদের বিরুদ্ধে টুইটারের নিয়ম ভাঙার প্রমাণ মিলেছে। তবে ওই অ্যাকাউন্টগুলি শুধুমাত্র ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে। অর্থাৎ এ দেশে এই অ্যাকাউন্টগুলির কোনও টুইট দেখা যাবে না। তবে দেশের বাইরে অ্যাকাউন্টগুলি চালু থাকবে। তারা আরও জানায়, কোনও সাংবাদিক, আন্দোলনকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে না।
প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) নিয়ে #ModiPlanningFarmerGenocide হ্যাশট্যাগ যোগ করে একাধিক ভুয়ো এবং উসকানিমূলক টুইটে সরগরম হয়ে উঠেছিল নেটদুনিয়া। তার বিরুদ্ধেই এবার তৎপর ভারত। কোনও ভাবেই যাতে ভুয়ো তথ্যের কারণে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার।