সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটনার পর কেটে গিয়েছে কম করেও ৩২ বছর। এখনও ভুলতে পারেননি বিভীষিকাময় দিনগুলির কথা। যে শিক্ষককে স্থান দেওয়া হয় মা-বাবার আগে, সেই শিক্ষকই যখন ধর্ষক হয়ে ওঠে, তখন হয়ত আর কিছুই করার থাকে না। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছে #MeToo হ্যাশট্যাগ। আর সেটির মাধ্যমেই নিজেদের উপর হওয়া যৌন হেনস্তার কথা শিকার করেছেন একাধিক তরুণী। পিছিয়ে নেই সেলিব্রিটিরাও। সেই হ্যাশট্যাগেই নিজের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানালেন কিম্বারলি এস ল্যাটা নামে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী। অভিযুক্ত, তৎকালীন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফ্রাঙ্কো মোরেত্তি।
[চালক ছাড়াই ১৩ কিমি পাড়ি রেলের ইঞ্জিনের, ধাওয়া করে থামালেন চালক!]
কয়েকদিন আগেই নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন কিম্বারলি। সেখানেই ওই অধ্যাপকের কুকীর্তির কথা সামনে আনেন। বলেন, ফ্রাঙ্কো মাঝমধ্যেই তাঁকে নানাভাবে চাপ দিত, ধর্ষণ করত। কিম্বারলির ওকল্যান্ডের অ্যাপার্টমেন্টেও ধর্ষণ করেছিল ওই পাষণ্ড। এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় গেলেও মিলত না নিস্তার। একটি রুমে মাঝেমধ্যেই অত্যাচার চালাত ফ্র্যাঙ্কো। এমনকী তিনি এও জানান, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কারণ যার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কিম্বারলি, সেই অফিসার আবার ফ্র্যাঙ্কোর পূর্ব-পরিচিত। আর এরপরই অধ্যাপক তাঁকে জানিয়েছিল, তার ক্ষমতা অনেক এবং তাই মুখ খুললেই নষ্ট হয়ে যাবে কিম্বারলির কেরিয়ার।
[অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে চান? ফেসবুককে পাঠান আপনার নগ্ন ছবি]
কিম্বারলির সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৪-৮৫ সালে। কিন্তু এতদিন পর কেন তিনি মুখ খুললেন? কিম্বারলির বক্তব্য, এই ঘটনার কথা তাঁর কাছের মানুষজন জানলেও, নিজের কেরিয়ারের কথা ভেবে তিনি কখনও মুখ খোলেননি। কিন্তু এবার বাধ্য হয়ে ওই অধ্যাপকের মুখোশ খুলে দিতেই এমন পদক্ষেপ। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ঘটনার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন।
[আগামী বছরের শুরু থেকে এই শহরে চলবে গোলাপি অটো]
The post ‘কেরিয়ার শেষ করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন প্রফেসর’, অভিযোগ মহিলার appeared first on Sangbad Pratidin.