সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেস্তরাঁগুলির (Resturant) বাড়তি সার্ভিস চার্জের ফলে বেড়ে যায় বিলের বহর। খাবারের দাম ও জিএসটি (GST) হিসেব কষেও প্রকৃত খরচের নাগাল পাওয়া যায় না। এমন অভিযোগ করেন রেস্তরাঁ-হোটেলে পানাহার করতে যাওয়া মানুষ। এমত অবস্থায় কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সার্ভিস চার্জ (Service Charge) নেওয়ার কোনও আইনি বৈধতা নেই, এই কাজ অন্যায্য। যদিও জাতীয় রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের (NRAI) দাবি, সার্ভিস চার্জ নেওয়ার বিষয়টি আইন সম্মত। এই বিষয়ে কেন্দ্র এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে একাধিক রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর (Consumer Affairs Department। দপ্তরের সচিব রোহিত কুমার সিং (Rohit Kumar Singh) পৌরহিত্য করেন বৈঠকের। সেখানেও অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রেস্তরাঁগুলির সার্ভিস চার্জ নেওয়া বৈধ। যদিও বৈঠকে কেন্দ্র জানায়, পরিষেবার জন্য আলাদা শুল্কের কথা বলা নেই কোথাও। এর কোনও আইনি যোগসূত্র নেই। এরপরেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সমস্যার সমাধানে শীঘ্রই একটি আইন আনা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: দেশে ফের একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজারের কাছাকাছি, পাঁচ রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র]
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে একাধিক হোটেল ও রেস্তরাঁ সংগঠনের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, কোনও রেস্তরাঁয় খাবারের দামের সঙ্গে সার্ভিস চার্জের বিষয়টি উল্লেখ থাকে না। বস্তুত তা বিল করার পর গ্রাহক জানতে পারেন। এটা গ্রাহকের সঙ্গে অন্যায় কাজ। অন্যদিকে রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, খাবারে গুণমানের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই, বরং রেস্তোরাঁ কর্মীদের পারিশ্রমিকের সঙ্গে যোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: পণ্ডিতদের কাশ্মীর ত্যাগের দায় নিতে নারাজ মোদি সরকার, ‘শরণার্থী শিবির’ই ভরসা নিপীড়িতদের]
তুমুল বিতর্কের মাঝে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি এদিন বলেন, রেস্তরাঁগুলি তাদের কর্মীদের মজুরি বাড়াতেই পারে, তার ফলে খাবারে দাম বাড়তেও পারে। কর্মীদের বেতন বাড়ানো রেস্তরাঁগুলির অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু অনেকেই চালাকি করে অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করে থাকে। আবার কেউ কেউ তা করে না। তাহলে মানুষ বুঝবে কী করে খাবারের আসল দামটা কী!