সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'এই পথ যদি না শেষ হয়...', বৈভব সূর্যবংশীর (Vaibhav Suryavanshi) সেঞ্চুরির ইনিংস দেখতে দেখতে যে কোনও ক্রিকেট সমর্থকই গুনগুন করে এই গানটি গেয়ে উঠেছিলেন। হয়তো এই গানটা নয়। কিন্তু মূল বক্তব্য অনেকটা এরকমই। শুধু 'পথের' বদলে শব্দটা হতে পারে 'ইনিংস'। সে আপনি যে দলের সমর্থক হোন না কেন, কিংবা যে দেশের লোক হোন না কেন? যদি ক্রিকেট ভালোবেসে থাকেন, তাহলে বৈভবকে নিশ্চয়ই কুর্নিশ জানিয়েছেন। ঠিক যেভাবে জয়পুরের গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়েছিল।
আর বৈভব? ১৪ বছরের বালক কী বলছে? নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে তার আশপাশের দুনিয়া দ্রুত বদলে গিয়েছে। হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। সোশাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছেন ক্রিকেটের 'ঈশ্বর' শচীন তেণ্ডুলকর। ৩৫ বলে সেঞ্চুরির দাপটে অনেক অনেক রেকর্ড আজ বৈভবের পায়ের তলায়। যদিও সে ওইসবে পাত্তা দিচ্ছে না। আইপিএল কেরিয়ারের শুরুটা হয়েছিল, প্রথম বলে ছক্কা মেরে। আর এখন তার বক্তব্য, এসব তার রোজকার কাজ।
বৈভব বলছে, "এসব আমি প্রায়ই করি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল বা ঘরোয়া ক্রিকেটে, আমি প্রথম বলে ছয় মেরেছি। প্রথম দশ বল খেলার সময় একেবারেই চাপ নিই না। যদি আমার সীমার মধ্যে বল আসে, তাহলে ছক্কা মারব।" আজ বৈভবকে নিয়ে গোটা দেশজুড়ে মাতামাতি। রাজস্থান রয়্যালসের বিস্ময় প্রতিভা সমস্ত কৃতিত্ব দিচ্ছে তার মা-বাবাকে। বাবা সঞ্জীব ও মা আরতির আত্মত্যাগ ছাড়া আজকের বৈভব তৈরিই হত না।
তার বক্তব্য, "আমি আজ যেখানে, সেটা বাবা-মায়ের আশীর্বাদে। আমার মা রাত এগারোটার সময় ঘুমিয়ে তিনটের সময় উঠত, কারণ আমার প্র্যাকটিসের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। আমার বাবা কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। বড়দাদাই এখন সেসব সামলায়। কিন্তু একটা কথা আমি বিশ্বাস করি, পরিশ্রম করলে ইশ্বর কখনও মুখ ফেরান না। আজ আমি যেটুকু আজ অর্জন করেছি, সেটুকু আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদে।"
