সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, চিংড়ি মানেই নাকি ঘটির হেঁশেলের কারবার! আর বাঙাল বাড়িতে নাকি চিংড়ি ‘জলের পোকা’! ঘটি-বাঙালদের হেঁশেল তরজা চিরন্তন, কিন্তু স্বাদে-আহ্লাদে রসনা তৃপ্তিতে তো কোনও বাঁধা নেই? আর এই ঘটি-বাঙাল রান্নার ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ যাঁরা পড়েন তাঁরা নির্ভেজাল খাদ্যরসিক। সে যাই হোক, এই পরিসরে ঘটি-বাঙাল প্রসঙ্গ টানার অন্যতম কারণ চিংড়ির এই ভর্তার রেসিপিতে ওপার বাংলার হেঁশেলের ছোঁয়াও রয়েছে। যা মুখে দিলে স্বাদকোরকের সাম্বা নৃত্য হতে বাধ্য।
তাহলে উপকরণগুলো শুনে নিন– কুচো চিংড়ি ২০০ গ্রাম, মুসুর ডাল ১ কাপ, ২টো বড় সাইজের পিঁয়াজ কুচি, ১টা গোটা রসুন কুচি, ১টা মাঝারি টমেটো, কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, সরষের তেল, নুন, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো।
১. প্রথমে মুসুরডাল খানিক রসুন, লঙ্কা দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ডাল শুকনো যেমন হয়, সেরকমভাবে শুকিয়ে এলে নামান।
২. একটা কড়ায় তেল গরম করে নুন-হলুদ মাখিয়ে চিংড়িগুলো ভেজে তুলে নিন। মিক্সিতে একবার ঘুরিয়ে নিন। নইলে ভর্তা মাখতে গিয়ে অসুবিধে হবে। গার্নিশের জন্য কয়েকটা চিংড়ি গোটা রাখতে পারেন চাইলে।
[আরও পড়ুন: গরমের শাক-সবজি মুখে রুচছে না? এই রেসিপিতেই হবে বাজিমাত]
৩. মাঝারি টমেটোটা স্লাইজ করে কেটে তাওয়ায় তেল ব্রাশ করে খানিক এপিঠ-ওপিঠ করে পুড়িয়ে নিন।
৪. এবার কড়ায় রাখা বাকি তেলে রসুন কুচি, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে সেদ্ধ করা শুকনো ডাল, মিক্সিতে হালকা পেস্ট করা ভাজা চিংড়ি, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, চিনি ১ চিমটি (অপশনাল) দিয়ে ঢিমে আঁচে নাড়াতে থাকুন। একদম শুকনো হয়ে গেলে নামিয়ে একটা পাত্রে রাখুন।
৫. খানিক ঠান্ডা হয়ে এলে কাঁচা পিঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি আর ১ চামচ সরষের তেল দিয়ে ভর্তা মেখে নিন। চাইলে ধনেপাতা দিতে পারেন এতে মন্দ লাগবে না। গরম ভাতের সঙ্গে একেবারে অমৃত এই মুসুর ডাল দিয়ে চিংড়ি ভর্তা।