সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুটবলপৃথিবীতে আলোচনাটা প্রায়শই হয় এখন। বলাবলি চলে যে, আর বছর তিনেকের মধ্যে ফের আসছে ফুটবল বিশ্বকাপ। সেখানে অধুনা বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) খেলতে দেখা যাবে কি না? কারণ, ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টাইন মহাতারকার বয়স হবে উনচল্লিশ। ফুটবল প্লেয়ারদের কাছে যা বাণপ্রস্থে চলে যাওয়ার সময়। কিন্তু আর্জেন্টিনা মাহতারকা এখনই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না! সোজাসুজি বললে, ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা মোটেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না লিওনেল মেসি!
কাতার বিশ্বকাপ মেসির জীবনের একমাত্র অপূর্ণতার দুঃখ মুছিয়ে দিয়েছে। বিশ্বকাপ হাতে তুলে দিয়ে। অনেকেরই যার পর মনে হয়েছিল যে, এই শেষ। আর বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে না মেসিকে। কিন্তু ‘এলএম টেন’ বলে দিচ্ছেন যে, সব দিক বিচার-বিবেচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, “আমি সব সময় কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্বাসী। আমিই সবার প্রথমে বুঝব যে, লড়ার ক্ষমতা আমার মধ্যে আর অবশিষ্ট আছে কি না? আমি জানি, বর্তমানে যেখানে খেলি, সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আহামরি কিছু নয়। কিন্তু আমি যদি দেখি, টিমে অবদান রাখার মতো জায়গায় রয়েছি, যদি ফিট থাকি, খেলা ছাড়ব না। এখনও পর্যন্ত আমি শুধুই কোপা আমেরিকা নিয়ে ভাবছি। ঝরঝরে থেকে আমি টুর্নামেন্টটা খেলতে চাই। শিরোপাটা জিততে চাই আবার।”
[আরও পড়ুন: ‘সবচেয়ে বড় অপয়া’, তিন রাজ্যে বিজেপি এগোতেই গেরুয়া নেতার খোঁচা রাহুলকে]
সঙ্গে যোগ করেছেন, “সময়ই বলবে, আগামী বিশ্বকাপ আমি খেলব কি না? সাধারণত, উনচল্লিশ বছর বয়সে প্লেয়াররা বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) খেলে না। তাই আমি বলেছিলাম যে, পরের বিশ্বকাপ খেলা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। অনেকে তো এটাও ধরে রেখেছিলেন যে, গত বিশ্বকাপের পরই আমি অবসর ঘোষণা করে দেব। কিন্তু তার উল্টোটা হয়েছে। দেশের হয়ে খেলার খিদে, প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছে। বহু, বহু বছর পর আমরা একটা মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, যে মুহূর্তে আমরা বাঁচতে চেয়েছিলাম। এই জায়গায় পৌঁছতে কম কষ্ট সহ্য করতে হয়নি আমাদের। তাই আগামী দু’তিন বছর কোনও কিছু না ভেবে এই মুহূর্তকে উপভোগ করে যেতে চাই, খেলে যেতে চাই। বিশ্বকাপ নিয়ে আমি ভাবছিই না। কিন্তু একশো শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে এটাও বলতে পারছি না যে, পরের বিশ্বকাপ আমি খেলব না। আমার যা বয়স, তাতে সাধারণ বিচারে খেলা সম্ভব নয়। দেখা যাক, কত দূর কী হয়? কোপায় যদি ভাল খেলতে পারি, যদি খেলা তার পরেও চালিয়ে যাই, খেলতেও পারি বিশ্বকাপ।” ওহে নীল-সাদা সমর্থককুল, শুনছেন?