সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে আচমকা পরাজয়। স্বাভাবিকভাবেই নজর ছিল পেরুর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ঘরের মাঠে সেই কাজটা করতে একটু বেগই পেতে হল নীল-সাদা জার্সিধারীদের। মেসি গোল না পেলেও অ্যাসিস্ট করলেন। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে (FIFA World Cup Qualifier) পেরুর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে অসাধারণ গোল করলেন লাওতারো মার্টিনেজ। অন্যদিকে ফের আটকে গেল ব্রাজিল। দোরিভাল জুনিয়রের দল ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করল উরুগুয়ের সঙ্গে।
গোটা ম্যাচ জুড়েই অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। বল পজিশনে এগিয়ে ছিল কোপা আমেরিকা জয়ীরা। এমনকী আর্জেন্টিনার গোল লক্ষ্য করে কোনও শটই নিতে পারেনি পেরুর ফুটবলাররা। ফলে এমি মার্টিনেজকে পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়নি। কিন্তু উলটো দিকে গোলের মুখও খুলছিল না লাওতারো, আলভারেজদের জন্য। সেই অপেক্ষা মিটল মেসি-লাওতারোর যুগলবন্দিতে।
ম্যাচের বয়স তখন ৫৫ মিনিট। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকলেন মেসি। তখন চারজন ডিফেন্ডার ঘিরে রেখেছে আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে। খালি চোখে মনে হচ্ছিল কোনও বিপদ নেই। কিন্তু চোখের পাতা ফেলার আগেই বলটা হালকা করে চিপ করে দিলেন মেসি। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না পেরুর ডিফেন্ডারদের। ম্যাজিক তখনও শেষ হয়নি। বক্সের মধ্যে ওঁত পেতে থাকা লাওতারো অনবদ্য স্করপিয়ন কিকে জালে বল জড়িয়ে দিলেন। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিল।
অন্যদিকে ব্রাজিলের ছবিটা বিবর্ণ রইল। ভেনেজুয়েলার পর উরুগুয়ের সঙ্গে ম্যাচও ড্র দিয়ে শেষ হল সেলেকাওদের। প্রথমে অবশ্য পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। ৫৮ মিনিটে গোল করেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ফেদে ভালভের্দে। ৪ মিনিটের মাথায় তা শোধ করে দেন গার্সন। দুজনেই দূরপাল্লার শটে গোল করেন। কিন্তু ভিনিসিয়স, রাফিনহার মতো তারকারা থাকা সত্ত্বেও ঘরের মাঠে জয়ের রাস্তা খুঁজে পেল না দোরিভাল জুনিয়রের দল। পাওয়া গেল না সংঘবদ্ধ, পরিকল্পিত ফুটবলের ছাপও। এই ড্রয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে ব্রাজিল ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পঞ্চম স্থানে। অন্যদিকে ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে আর্জেন্টিনা।