রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: রবিবার সকালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া মাদারিহাটের ইসলামাবাদ গ্রামে হাতির মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। প্রথমে হাতিটির দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। ঘটনাস্থলে যান জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কর্মীরা। হাতিটির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ব্যাপক বৃষ্টি হয় এলাকায়। সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন একটি স্ত্রী হাতি জাতীয় উদ্যান লাগোয়া এলাকায় পড়ে রয়েছে। খবর যায় বনদপ্তরে। বনকর্মীরা এসে দেহটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: তিলোত্তমা ভরছে ই-বর্জ্যে, চাপ কমাতে অভিনব উদ্যোগ পুরসভার]
স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল ওঁরাও বলেন, "শনিবার সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে। সকালে হাতির দেহ দেখতে পাই। হাতির মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।" পাশাপাশি এলাকায় হাতির তাণ্ডব ও বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, হাতির দলের তাণ্ডবে তাঁরা অতিষ্ঠ। বনদপ্তরে খবর দিলে কর্মীরা আসতে দেরি করেন বলেও অভিযোগ। একইসঙ্গে দপ্তরে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী কম রয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
সুশীলবাবু বলেন, "আমাদের এলাকায় হাতির সংখ্যা বেড়েছে। কোন দিকে হাতির দল যাচ্ছে, তা দেখা উচিত বনকর্মীদের। লোকালয়ে হাতি দেখতে পেয়ে খবর দেওয়া হলে অনেক পরে আসেন তাঁরা।" এর পরেই তিনি বলেন, "আমাদের এই ডিপোতে বনকর্মীদের সংখ্যা অনেক কম। ৭-৮ জন কর্মী আছেন। তাঁরাই বা কোন দিকে যাবেন। বন বিভাগের কাছে অনুরোধ এলাকায় সোলার ইলেকট্রিকের ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে হাতির মৃত্যুও হবে না। আবার বাধা পেয়ে অন্যদিকে চলেও যাবে।"