shono
Advertisement

কুঁড়েঘরে থাকেন বিধায়ক, চাঁদা তুলে বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন অনুগামীরাই

বিধায়ক কুঁড়েঘরে থাকায় লজ্জাবোধ করেছেন স্থানীয়রাই। The post কুঁড়েঘরে থাকেন বিধায়ক, চাঁদা তুলে বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন অনুগামীরাই appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 04:41 PM Jan 30, 2019Updated: 04:41 PM Jan 30, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্রতিনিধি মানেই অসীম ক্ষমতা আর অঢেল অর্থপ্রাচুর্য। এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু এই বিধায়ক সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি এতটাই গরিব যে বসবাস করার জন্য পাকা ঘরও তৈরি করতে পারেননি। বাস করেন কুঁড়েঘরে। তাঁর সততার কথা এলাকায় সর্বজনবিদিত। তাই সাধারণ মানুষই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজেরা চাঁদা তুলে ওই বিধায়ককে বাড়ি বানিয়ে দেবেন।

Advertisement

[মোদি জমানায় কমছে দুর্নীতি, চিনকে পিছনে ফেলল ভারত]

আসলে, এই প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন সীতারাম আদিবাসী। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি করছেন তিনি। শেওপুর জেলার থাচড এলাকায় একটি কুঁড়েঘরে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করেন তিনি। এবারই প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়েন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন কংগ্রেসের স্থানীয় হেভিওয়েট নেতা রামনিবাস রাওয়াত। তিনি রীতিমতো অর্থবান এবং প্রভাবশালী। অন্যদিকে আদিবাসীর নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। লড়াইটা ছিল অসম, তাতেও হারিয়ে দেন হেভিওয়েটকে। আসলে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সীতারামজি সারা বছর মানুষের কথা ভাবেন। তাই মধ্যপ্রদেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়া থাকলেও, তাঁর জিততে অসুবিধা হয়নি।

[দেশের বৃহত্তম দুর্নীতির ‘পর্দাফাঁস’ কোবরাপোস্টের, কাঠগড়ায় বেসরকারি সংস্থা]

কিন্তু, বিধায়ক হওয়ার পরও অবস্থার বদল হয়নি তাঁর। এখনও তিনি থাকেন সেই কুঁড়েঘরেই। আগের মতোই সাদামাটা তাঁর জীবনযাপন। আসলে, বিধায়ক হিসেবে ইতিমধ্যেই এলাকায় কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে ফেললেও এখনও প্রথম মাইনেটা তোলা হয়নি তাঁর। তাই অবস্থারও বদল হয়নি। মধ্যপ্রদেশে বিধায়কদের বেতন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। তাই টাকা পেলে অবস্থা বদলাবে। কিন্তু ততদিন তো কুঁড়েঘরেই থাকতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দারাই এতে লজ্জিত বোধ করছেন। তাঁরা বলছেন, “এলাকার বিধায়ক কুঁড়েঘরে বাস করবে এটা অশোভন। তাই আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছি তাঁকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার। ইতিমধ্যেই বিধায়ককে আর্থিক সাহায্যের জন্য চাঁদা তোলা শুরু হয়েছে। তাঁর অনুগামীরা সাধ্যমতো কেউ ১০০ টাকা কেউ ২০০ টাকা সাহায্য করছেন। খুব তাড়াতাড়ি বিধায়কের জন্য একটি দুই কামরার ঘর তৈরি করে দেব আমরা।”

The post কুঁড়েঘরে থাকেন বিধায়ক, চাঁদা তুলে বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন অনুগামীরাই appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement