সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের ফলে পরিবর্তন এসেছে আবহাওয়ায়। দূষণ কমে যাওয়ার ফলে বিশুদ্ধ হয়েছে বাতাস। নিয়ম মেনেই হয়েছে প্রাকবর্ষার বৃষ্টি। বাংলার আবহাওয়া সাধারণত জুনের প্রথমদিকে যেমন থাকা উচিত, তেমনই রয়েছে। আর তার ফলে পরিযায়ী পাখির দলও এ বছর একমাস আগেই এল বাংলায়। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলার ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। বাংলায় সাধারণত পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয় জুলাই মাস থেকে। বর্ষার প্রথম বৃষ্টিই তাঁদের আগমনের সময়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বাংলার বিভিন্ন পাখিরালয়ে আসে কয়েক হাজার পাখি। কিন্তু এ বছর তারা জুনের গোড়ার দিক থেকেই পৌঁছতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের কুলিক রাজগঞ্জ অভয়ারণ্য পরিযায়ী পাখিতে পূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন, বায়ু দূষণ হ্রাস, গ্রীষ্মে অপেক্ষাকৃত কম গরম এবং মাঝেমধ্যে বৃষ্টিপাতের ফলে এই বছর মশুমের শুরুতেই পাখি আসতে শুরু করেছে। পরিবেশবিদ চন্দ্রনারায়ণ শাহ জানিয়েছেন, “এই বছর বিভিন্ন দেশে লকডাউনের কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়াও গ্রীষ্মও অপেক্ষাকৃত শীতল। নির্দিষ্ট সময়েই শুরু হয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিপাত। এমন অনুকূল আবহাওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের সময়ের আগে উত্তরবঙ্গে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে।”
[ আরও পড়ুন: উপার্জনের আশায় মাছ ধরতে যাওয়াই কাল, সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত্যু মৎস্যজীবীর ]
প্রতি বছর রায়গঞ্জের কুলিক পখিরালয়ে বিল স্টর্ক, নাইট হেরন, এগারেট এবং কর্পোরেন্টের মতো পরিযায়ী পাখি আসে। অভয়ারণ্যের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৯৩ হাজারেরও বেশি পাখি বাংলায় এসেছিল। সাধারণত, এই পাখিগুলি জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রাজ্যে পৌঁছতে শুরু করে। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। পরিযায়ী পাখিদের আগমনের কথা বলতে গিয়ে রাজগঞ্জের বিভাগীয় ফরেস্ট অফিসার সোমনাথ সরকার বলেন, “এবার পাখিরা প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে এ পর্যন্ত কত পাখি এসেছে তার কোনও রেকর্ড নেই। তবে পাখিরালয় লকডাউনের কারণে এখনই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে না।” তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কুলিক জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
[ আরও পড়ুন: অভিনব প্রতিবাদ, ‘করোনা পাশবালিশ’-এ হেলান দিয়ে রাস্তায় শুয়ে বিজেপি নেতা ]
The post বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সুখবর, একমাস আগেই বাংলায় এল পরিযায়ী পাখির দল appeared first on Sangbad Pratidin.