ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দীর্ঘ জটিলতার পর অবশেষে বিধানসভা অধিবেশনের জট কাটল। আগামী ২৪ জুলাই থেকে শুরু রাজ্যের বিধানসভার বাদল অধিবেশন।
জানা গিয়েছে, রাজভবন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার পর জটিলতা কেটেছে। বিষয়টি নিয়ে দৌত্য করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কেরলে ছিলেন। সেখান থেকেই কথা বলতে চান পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। জট কাটাতে গতকাল বিকেলেই দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হয় দু’জনের। ফোনে রাজ্যপাল জানতে চান, এত তাড়াহুড়ো করে কেন বিধানসভা ডাকছেন? কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি নয়, স্রেফ বিষয়টা জানতেই এই প্রশ্ন করেন বলেও জানান তিনি। জবাবে গোটা বিষয়টি রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: কীভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস? অবশেষে প্রকাশ্যে রিপোর্ট]
তিনি বলেন, একাধিক জরুরি বিল আনার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি বাজেটের বর্ধিত অধিবেশনও ডাকতে হবে। তাতে জরুরি সরকারি পরিষেবা দেওয়া আরও সহজ হবে। রাজ্যের মন্ত্রীর থেকে সবটা শোনার পর রাজ্যপাল আর দ্বিমত করেননি। সঙ্গে সঙ্গে বলে দেন, “আপনি ২৪ তারিখেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকুন। আমি সম্মতি দিচ্ছি।” গতকাল রাতেই কলকাতায় ফিরে ফাইল ছেড়ে দেন রাজ্যপাল। আজ, শনিবার সকালে রাজ্যপালের সই করা সেই ফাইল বিধানসভা পৌঁছে যায়। ফলে ২৪ জুলাই থেকেই বসছে বিধানসভা অধিবেশন। উল্লেখ্য, বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে রাজ্যপাল ও সরকারের মধ্যে তীব্র বিবাদ তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এমনকী শোনা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল অধিবেশন নিয়ে কোনও জবাবদিহির পথে হাঁটবে না সরকার। তবে শেষমেশ দু’পক্ষের কথাবার্তায় অবশেষে কাটল জট।
এদিকে ২৪ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বিধানসভাতেই। সাময়িক জটিলতার কারণে সেই বৈঠক সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হয় নবান্নে। প্রথম দিন বিধানসভায় যেহেতু শোক প্রস্তাব আনা হবে, সেই কারণে অধিবেশন দ্রুত শেষও হয়ে যাবে। ফলে নবান্নেই মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।