সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির (BJP) দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকাতেও ব্রাত্য মুসলিমরা। প্রথম তালিকায় ১৯৫ জনের মধ্যে মুসলিম প্রার্থী ছিলেন একজন। দ্বিতীয় দফায় যে ৭২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে একজনও মুসলিম প্রার্থী নেই। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবির যে ২৬৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে মুসলিম সংখ্যা মোটে ১। অর্থাৎ বিজেপির প্রার্থী তালিকায় এবারেও উপেক্ষিত সংখ্যালঘুরা।
সংখ্যালঘুদের উপেক্ষা করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে যেসব সাংসদ বিষেদগার করেন, তাঁদের কিন্তু ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভার (Lok Sabha 2024) প্রথম তালিকা থেকেই সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং, রমেশ বিধুরীদের মতো ঘৃণাভাষণে অভিযুক্ত সাংসদের টিকিট কাটা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় কাটা হল প্রতাপ সিমহা এবং অনন্ত হেগড়ের নাম। দিন দুই আগে এই অনন্ত হেগড়েই দাবি করেছিলেন, এবার বিজেপি ৪০০ আসন জিততে চায় যাতে দেশের সংবিধান বদলে ফেলা যায়। তার পরই তাঁর টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক ভোট’, রাষ্ট্রপতির কাছে ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দিল কোবিন্দ কমিটি]
দুই তালিকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত বিজেপি ৬৩ জন সাংসদের টিকিট কেটেছে। হিসাব বলছ, ইতিমধ্যেই বিজেপির ২১ শতাংশ সাংসদের টিকিট কাটা গিয়েছে। পরবর্তী তালিকাগুলিতে আরও একাধিক সাংসদের টিকিট কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশ্ন হল, বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি যখন ৪০০ আসন পাওয়ার ব্যাপারে এত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে, তখন এত সাংসদের টিকিট কাটা কেন? তাহলে কি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: CAA মুসলিম বিরোধী নয়, ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে অপপ্রচার, বলছেন শাহ]
দিন কয়েক আগেই সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়েছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। সেই বিল অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা। যদিও সেটা কার্যকর হয়নি এখনও। তবে এবারের লোকসভা ভোটে অনেক দলই ৩৩ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বিজেপির দুই তালিকা মিলে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যাটা অনেকটা।