সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নববর্ষের প্রথম দিনে চালসায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাচে, গানে ভিন্ন মুডে দেখা যায় তাঁকে। ভোটমুখী বাংলায় ওই সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠানকে হাতিয়ার করে শাসক শিবিরকে বিঁধল বিরোধীরা। "ওদের লোক জড়ো করতে গেলে নাচতে হচ্ছে", বলেই খোঁচা দিলীপ ঘোষের।
সোমবার বর্ধমানের সদরঘাটে প্রাতঃভ্রমণে বেরন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দামোদর ঘাটে চৈত্র ছটে আসা পুণ্যার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তেলিপুকুরে চা চক্রে যোগ দেন। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ইস্যুতে শাসক শিবিরকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, "ওদের লোক জড়ো করতে গেলে নাচতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীও নাচছেন, ওখানকার প্রার্থীও নাচছেন। রাস্তার ধারে নেচে লোক জড়ো করছেন। আমরা যেখানে যাচ্ছি এমনিতেই লোক জড়ো হয়ে যাচ্ছে।"
[আরও পড়ুন: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে শেয়ার বাজারে বিরাট ধস, ৮ লক্ষ কোটি লোকসানের মুখে লগ্নিকারীরা!]
ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাংস্কৃতিক কলাকুশলীদের জন্য নানা প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাতাও চালু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আদিবাসী নৃত্য, গানেও মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে বারবার। তাই চালসার অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ তুলে মমতাকে খোঁচা দেওয়ার যুক্তি নেই বলেই মনে করছে তৃণমূল। শাসক শিবিরের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতি শিখতে হবে। আসলে উনি এসব শেখেননি। তাই আলগা কথা বলছেন। আমরা কমিশনে যাব।" উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ এর আগে মমতাকে নিয়ে কুকথা বলেছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনেও তা নিয়ে নালিশ করেছে তৃণমূল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তবে তা সত্ত্বেও অব্যাহত বাকযুদ্ধ।