বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেও বাংলার প্রার্থী জটিলতা কাটাতে ব্যর্থ হলেন অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা। প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে হাজির বঙ্গনেতারা একমত না হওয়ায় একাধিক আসনে দু’জন অথবা তিনজনের নাম রয়েছে। শেষপর্যন্ত কাকে প্রার্থী করা হবে তা বিজেপির জাতীয় নির্বাচন কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তাই বৃহস্পতিবারের আগে বাংলার বাকি ২৩ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা অনিশ্চিত।
তবে যেহেতু বুধবার থেকে প্রথম দফার মনোনয়ন শুরু হচ্ছে তাই দ্রুত জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতে পারে। বাকি ২১ আসনে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ ভারত সফর সেরে ফেরার পরই জাতীয় নির্বাচন কমিটির (BJP CEC) বৈঠকে নাম চূড়ান্ত হবে বলে সূত্রের খবর। ২৩ আসনে প্রার্থীদের নামের পাশে সিলমোহর দিতে সোমবার রাতে বঙ্গ বিজেপির (BJP) কোর কমিটির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন অমিত শাহরা। কিন্তু বৈঠকেই একাধিক আসনে প্রার্থীদের নাম নিয়ে বঙ্গ নেতারা ঐক্যমত্যে পৌঁছতে না পারায় তালিকা চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্রের খবর। দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, দমদম, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর ও আসানসোল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দলের জাতীয় নির্বাচন কমিটির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: যতকাণ্ড যোগীরাজ্যে, সরকারি টাকা হাতাতে দিদির কপালেই সিঁদুর দিলেন ভাই!]
যেমন দার্জিলিংয়ে এক প্রাক্তন আমলাকে প্রার্থী করার পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ। অন্যদিকে, রাজ্য নেতৃত্বে চাইছে রাজু বিস্তাকেই ফের প্রার্থী করতে। অন্যদিকে, মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির একাংশ। তাঁরা চাইছেন, তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে কোনও সেলিব্রিটি মহিলাকে দাঁড় করাতে। এক মহিলা বিধায়কের পাশাপাশি প্রাক্তন এক তৃণমূল সাংসদকেও তালিকায় রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দমদমে এক মহিলা নেত্রী ছাড়াও কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলরের নাম রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রামদেব, পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম তলব যোগগুরুকে]
আবার ডায়মন্ড হারবার আসনের প্রার্থী নিয়ে দোলাচলে গেরুয়া শিবির। সেখানে প্রার্থী হওয়ার মতো হেভিওয়েট কাউকেই খুঁজে পাচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি। তাই সেখানে আরএসএসের এক নেতার পাশাপাশি তৃণমূল (TMC) থেকে আসা বিরোধী দলনেতা ঘনিষ্ট একজনের নাম রাখা হয়েছে। আসানসোল আসন নিয়েও জটিলতা রয়ে গিয়েছে। সেখানে পবন সিং লড়াই করতে অপারগ ঘোষণা করার পর নতুন মুখের সন্ধানে নামে গেরুয়া শিবির। প্রাক্তন এক বিধায়কের পাশাপাশি বর্তমান এক মহিলা বিধায়ককের নামও রাখা হয়েছে। তবে কে প্রার্থী হবেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিটি।