সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের হট্টগোলের মধ্যেই নীরবে হিমাচল প্রদেশে সরকারের উপর সংকট আপাতত কাটিয়ে ফেলল কংগ্রেস। রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মধ্যে ৪টি আসনই দখল করল হাত শিবির। ফলে হিমাচল প্রদেশে সরকার আপাতত সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখল।
৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় ২০২২ সালে ভালোমতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু কিছুদিন আগে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সরকারের উপর আকস্মিক সংকট তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর উপর ক্ষোভে পদত্যাগ করে ৬ কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে। পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন ৩ নির্দল বিধায়কও। যার ফলে সাময়িকভাবে হলেও সংকটে পড়ে যায় কংগ্রেস সরকার।
[আরও পড়ুন: আসন কমতেই মোদি-শাহর ‘কর্তৃত্ব’ নিয়ে ক্ষোভ অন্দরে, অসন্তুষ্ট আরএসএসও!]
সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার আদৌ টিকবে কিনা সেটা নির্ভর করছিল ৬ আসনের উপনির্বাচনের উপর। সরকার টিকিয়ে রাখতে হল গোটা দুই আসন অন্তত জিততেই হত কংগ্রেসকে। লড়াই সহজ ছিল না। লোকসভার সঙ্গে ভোট হওয়ায় মোদি হাওয়া কাজ করার একটা সম্ভাবনা ছিল। যে হাওয়ায় হিমাচলের চারটি লোকসভা কেন্দ্রই গিয়েছে বিজেপির দখলে। তবে বিধানসভার ক্ষেত্রে আলাদা সমীকরণ কাজ করেছে। ৬ আসনের মধ্যে চারটিতে জিতেছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ‘ঠাকুর যা করেন মঙ্গলের জন্যই’, লকেটকে ‘সান্ত্বনা’ রচনার, ভাইরাল মিম]
সুজানপুর, কুতলেহার, উনা এবং লাহুল স্পিতি বিধানসভায় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ৬ আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ধর্মশালা এবং বারসর আসনটি। এই চার আসন জেতায় আপাতত কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৩৮। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়াল ২৭। ৩ আসন ফাঁকা পড়ে আছে। দ্রুত সেখানেও উপনির্বাচন হবে। উপনির্বাচনের এই ফলাফল স্পষ্ট ইঙ্গিত করল, হিমাচলের মানুষ দিল্লিতে বিজেপিকে চাইলেও, রাজ্যে চেয়েছে কংগ্রেসকেই।