সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোটসপ্তমীতে বজায় রইল অশান্তির ট্র্যাডিশন। শনিবার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি এবং ভাঙড়।
সপ্তম দফায় কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম, বারাসত, মথুরাপুর, জয়নগর, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাটে চলে ভোটগ্রহণ পর্ব। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ভোট শুরু হয়। তবে ভোট শুরুর আগে থেকেই যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড়, ক্যানিং-সহ একাধিক এলাকা থেকে মেলে অশান্তির খবর। কোথাও আক্রান্ত হয় আইএসএফ। তো আবার কোথাও শাসকদলের নেতা-কর্মীরা জখম হয়েছে বলেই অভিযোগ ওঠে। অশান্তির নিরিখে অবশ্য এদিন দফায় দফায় নজর কাড়ে বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত সন্দেশখালি। সেখানে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের রক্ত ঝরে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন খোদ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পুলিশের উর্দি খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় তাঁকে। দলীয় নেতা-কর্মীদের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককেও ধমক দেন রেখা।
[আরও পড়ুন: বৃদ্ধকে আগলে রেখে ভোট দেওয়ালেন মিমি, পুলিশ ডেকে বিশেষ ব্যবস্থা অভিনেত্রীর]
প্রথম দফা থেকেই ভোটে তেমন বড় কোনও অশান্তি খবর পাওয়া যায়নি। তা সে উত্তরবঙ্গই হোক কিংবা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। ভোট শুরুর আগে থেকেই বার বার রাজ্যে অশান্তি, প্রাণহানির আশঙ্কা করেছে বিরোধীরা। শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠেছে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগও। রক্তপাত, বোমাবাজি, প্রাণহানি রুখে ভোটকে শান্তিপূর্ণ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। চলতি নির্বাচনে নজিরবিহীন সংখ্যায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার ফলে এবার আর ভোটবঙ্গে তেমন বড় কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। তবে শেষ দফার ভোট পর্যন্ত প্রাণহানি রুখে প্রায় ফুল মার্কস পেয়ে পাশ নির্বাচন কমিশন। যদিও শান্তিপূর্ণ ভোটের কৃতিত্ব 'মা-মাটি-মানুষ'কেই দিয়েছে তৃণমূল।