দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভোট আবহে ভাঙড়ে অশান্তি। জয়নগরের আইএসএফ প্রার্থীর প্রচারের মাঝে উত্তেজনা। ঝরল রক্ত। আক্রান্ত পুলিশকর্মীরাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরের ঝিঝিরআইটে তুমুল উত্তেজনা। আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
বুধবার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরের ঝিঝিরআইটে আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাদ হালদারের সমর্থনে প্রচার চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় প্রার্থীর উপর হামলা করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। আইএসএফের দাবি, পালটা হামলা রোখার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। অশান্তি রুখতে গিয়ে পুলিশকর্মীদেরও রক্ত ঝরে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যাতে নতুন করে অশান্তি না ছড়ায় তাই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কোনও খান-কাপুর নয়! বচ্চনের পরই আমি’, ট্রোলড হয়েও ‘মেজাজি’ কঙ্গনা, ফের কী বললেন?]
বলে রাখা ভালো, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। মনোনয়ন পর্বে দফায় দফায় বোমাবাজি হয়েছে। গুলি চলেছে। প্রাণ গিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক কর্মীর। ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাতে গুলিবিদ্ধ হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। সবমিলিয়ে রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাঙড় এলাকা। সেই ভাঙড়েই লোকসভা ভোটের মাঝে ঝরল রক্ত। সাত দফার মধ্যে রাজ্যে ইতিমধ্যে তিন দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। তাতে তেমন অশান্তি হয়নি। সপ্তম দফায় ভাঙড়ে ভোটাভুটি। তার আগে এই অশান্তির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা।