সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) মধ্য হরিয়ানায় উটকো ঝামেলার মধ্যে বিজেপি। পরিস্থিতি এমনই যে সে রাজ্যে সরকার টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ মোদি-শাহদের কাছে। ৩ নির্দল সমর্থন প্রত্যাহারের পর এই মুহূর্তে 'সংখ্যালঘু' হরিয়ানা সরকার। এই পরিস্থিতিতে 'অসময়ের বন্ধু' জননায়ক জনতা পার্টির সঙ্গ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বিজেপি (BJP)। সেই জেজেপিও জানিয়ে দিল, আস্থাভোট হলে বিজেপিকে সমর্থনের প্রশ্ন নেই।
মঙ্গলবার অর্থাৎ তৃতীয় দফার ভোটের দিন আচমকা হরিয়ানায় নাটকীয় পটপরিবর্তন হয়। শিবির বদল করেন নির্দল বিধায়ক সোম্বির সাংওয়ান, রনধীর গোল্লেন এবং ধরমপাল গোন্ডের। হরিয়ানার (Haryana) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা এবং প্রদেশ কংগ্রস প্রধান উদয় ভানের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসকে (Congress) সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন তিন বিধায়ক। যার পর হরিয়ানায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: এবার আহমেদনগরের নামবদল! মোদিকে পাশে নিয়ে ভোটপ্রচারে ঘোষণা ফড়ণবিসের]
কংগ্রেসের দাবি, হরিয়ানার সরকার এখন সংখ্যালঘু। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ৪৫। এর মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে ৪০ জন বিধায়ক। আরও দুজন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। অন্যদিকে কংগ্রেসের হাতে ৩০ বিধায়ক, জেজেপির (JJP) হাতে ১০ বিধায়ক এবং ৫ জন নির্দল বিরোধী শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি হয়ে ওঠে জেজেপির অবস্থান। দিন কয়েক আগেও জেজেপি ছিল বিজেপিরই জোটসঙ্গী। কিন্তু লোকসভার আগে হঠাৎই জেজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দেয় গেরুয়া শিবির। এখন সেই জেজেপিই হরিয়ানার রাজনীতির আখড়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 'পহেলবান'।
[আরও পড়ুন: ১৮ মাস পর ভারতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ চিনের, দিল্লি দরবারে এবার জিনপিংয়ের ‘বিশ্বস্ত’ ফেইহং]
এই পরিস্থিতিতে বুধবার জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালা স্পষ্ট ঘোষণা করে দিলেন, "আবার যদি আস্থাভোট হয়, তবে তাঁর দল প্রাক্তন সঙ্গী বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেবে! বিরোধী দলনেতা ভূপিন্দর সিংহ হুডা বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনলে আমাদের দলের বিধায়কেরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। সাইনিকে ‘দুর্বল মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও কটাক্ষ করেন দুষ্মন্ত।"