সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব ইস্যু, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা, ওল্ড পেনশন স্কিম। কংগ্রেসের (Congress) ইস্তেহারে নেই দেশের সবচেয়ে জ্বলন্ত ইস্যুগুলিই। অথচ এই ইস্যুগুলি নিয়েই দীর্ঘদিন আন্দোলন করে গিয়েছে হাত শিবির। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে জোট শরিকদের মধ্যেও।
CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন, যা কিনা এই মুহূর্তে জ্বলন্ত ইস্যু। কংগ্রেস এর বিরোধিতাও করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না, সাফ বলেছে হাত শিবির। কিন্তু ইস্তেহারে CAA প্রসঙ্গ নেই। আবার কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করেছিল হাত শিবির। সেটা ফেরানোর কোনও প্রতিশ্রুতিও কংগ্রেসের ইস্তেহারে নেই। সম্প্রতি কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে ওল্ড পেনশন স্কিমকে ইস্যু করে সাফল্য পেয়েছে হাত শিবির। দেশজুড়ে সেটাকে ইস্যু করার কথা ভাবাও হয়েছিল। সেটাও নেই কংগ্রেসের ইস্তেহারে।
[আরও পড়ুন: জোট জটে নওশাদকে আক্রমণ বাম-কংগ্রেসের, এড়িয়ে গেল তৃণমূল]
এসব নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। প্রশ্ন উঠছিল, এই জ্বলন্ত ইস্যুগুলিকে বাদ দিয়ে কীভাবে ভোটে লড়া সম্ভব। কংগ্রেস সূত্র বলছে, এবার দলের ইস্তেহারে মূলত পাঁচটি ন্যায়ে জোর দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের জন্য ন্যায়, তরুণদের জন্য ন্যায়, কৃষকদের জন্য ন্যায়, শ্রমিকদের জন্য ন্যায় এবং সামাজিক ন্যায়। এই পাঁচ ন্যায়ের অধীনে মোট ২৫টি গ্যারান্টির কথা বলছে হাত শিবির। তাই বিতর্কিত কোনও ইস্যু ইস্তেহারে রাখা হয়নি। তাতে মূল প্রতিশ্রুতিগুলি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে টাটাদের ফেরার প্রতিশ্রুতি লকেটের, ‘স্বপ্ন দেখছেন’ কটাক্ষ রচনার]
তাছাড়া বিতর্কিত প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা যুক্তিও দিচ্ছে হাত শিবির। কংগ্রেস বলছে, CAA নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ভোটের আগেই রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যদি সিএএ-কে বৈধতা দেয়, তাহলে ইস্তেহারে সেটা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি রাখলে দল অস্বস্তিতে পড়ত। ৩৭০ ধারার ক্ষেত্রেও যুক্তি একই। কংগ্রেস বলছে, আমরা কোনওদিনই সরাসরি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করিনি। যেভাবে কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, যে পদ্ধতিতে ৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছে সেটার বিরোধিতা করা হয়েছে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টও ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দেয়নি। তাই সেটাও ইস্তেহারে রাখা দেয়নি। আর পুরনো পেনশন (Old Pension Scheme) নিয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য, সরকারের মেয়াদকালের শেষের দিকে এসে মোদি নিজেও পুরনো পেনশন ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। তাই আলাদা করে সেটা আর কংগ্রেসের ইস্তেহারে রাখা হয়নি। তবে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে পুরনো পেনশন স্কিম চালু হবেই।