সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশার রাজনীতিতে মহীরুহ পতন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেডির পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেন নবীন পট্টনায়েক। রীতি মেনে বুধবার রাজ্যপাল রঘুবর দাসের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন নবীন।
টানা পাঁচবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে ছিলেন নবীন। দাঁড়িয়ে ছিলেন ইতিহাসের দোরগোড়ায়। ক্ষমতায় ফিরলেই নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) দেশের সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় পয়লা নম্বরে চলে আসতেন। আপাতত সেই স্থান পবন চামলিংয়ের দখলে। পবন মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন ২৪ বছর ১৬৫ দিন। আর নবীন ওই পদে ছিলেন ২৪ বছর ৮৮ দিন। রেকর্ড ভাঙা হল না। শুকনো মুখেই ওড়িশার কুরসি ছাড়তে হল বিজেডি সুপ্রিমোকে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ, বাংলায় অভিষেক, দেশে রাহুল, তিন ‘যুবরাজ’ স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বিরোধীদের]
নবীনের ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা শুরু হয়েছে ভুবনেশ্বরের মসনদে এবার কে বসবেন সেটা নিয়ে। বেশ কয়েকটা নাম বিজেপি শিবিরে শোনা যাচ্ছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আদিবাসী মুখ জুয়াল ওরাম, বিজেপির মুখপাত্র তথা সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সম্বিত পাত্র। দলের জাতীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) লড়াইয়ে রয়েছেন। তবে এদের মধ্যে লড়াইয়ে এগিয়ে জয় পাণ্ডা এবং ধর্মেন্দ্র। যদিও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করার ধরন খানিক আলাদা। অচেনা কোনও মুখকে বাছা হতে পারে। সবটাই এখনও জল্পনার স্তরে।
[আরও পড়ুন: আসন কমতেই মোদি-শাহর ‘কর্তৃত্ব’ নিয়ে ক্ষোভ অন্দরে, অসন্তুষ্ট আরএসএসও!]
উল্লেখ্য, এই প্রথম বার ওড়িশায় একক ক্ষমতায় সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি (BJP)। ১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভায় বিজেপি জিতেছে ৭৮টি আসন। বিজেডি নেমে এসেছে ৫১ আসনে। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ১৪টি আসন। ১টি আসন জিতেছে সিপিএম। জনা তিনেক নির্দল প্রার্থীও জিতেছেন।