সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। শুক্রবার দেশের ৮৯টি আসনের মধ্যে রাজ্যে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট এবং দার্জিলিং লোকসভায় ভোট হল। এই তিনটি লোকসভায় ৩০৭ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে নির্বাচন কমিশন। যা প্রথম দফার থেকেও বেশি। মনে করা হচ্ছে সেই ফলই পেল তারা।
কয়েকটি জায়গায় অল্পবিস্তর ঝামেলা হলেও তা সাম্প্রতিক সময়ে ভোট হিংসার কাছে কিছুই না বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৭১.৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যা প্রথম দফার তুলনায় কম। গরমের জন্যই ভোটারদের বুথে আসার হার কম বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কাঞ্চনের মতোই হাল আপনার সঙ্গেও হতে পারে! রচনার ছবি দিয়ে এবার পোস্টার হুগলিতে]
দুপুরবেলায় নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্যে থেকে দেখা গিয়েছে, তিনটি লোকসভা মিলিয়ে মোট ৩২৯ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে দার্জিলিং লোকসভা (Darjeeling Lok Sabha) কেন্দ্র থেকে দায়ের হয়েছে মোট ৫৪টি অভিযোগ। বালুরঘাট থেকে ১১৭টি অভিযোগ এসেছে। সবথেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে রায়গঞ্জ লোকসভা থেকে। সেখানের সংখ্যাটা ১৫৮। তবে এই অভিযোগের সংখ্যা প্রথম দফার থেকে কম। ভোটের প্রথম দিন জমা পড়েছিল ৫৫৬টি অভিযোগ।
প্রথম দফায় ভোটদানের দিক থেকে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলা। তিন কেন্দ্র মিলিয়ে ভোট পড়েছিল ৭৭.৫৭ শতাংশ। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭১.৮৪ শতাংশ। বালুরঘাটে ৭২.৩০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭১.৪১ শতাংশ ও রায়গঞ্জে ৭১.৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। ভোট শতাংশ নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, "এখনও চূড়ান্ত তথ্য আসেনি। কত শতাংশ ভোট পড়ল তার পূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে আগামিকাল।"
তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও রায়গঞ্জে ভোট শুরুর পর প্রায় ২ ঘণ্টা ১২টি ইভিএম খারাপ হয়ে পড়ে ছিল। এবিষয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, "যেখান থেকে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল সেখানে কমিশনের দল গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।"
[আরও পড়ুন: বুলেটে ব্যালট রোখার ছক জেহাদিদের! ভোটের কাশ্মীরে খতম লস্কর জঙ্গি]
ভোটের শুরুতে রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। বেলার দিকে বালুরঘাট লোকসভা (Balurghat Lok Sabha) কেন্দ্রের এক বুথে বিজেপি এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ভোটগ্রহণ পর্বের শেষ মুহূর্তে শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি জড়িয়ে পড়ে। আরও কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিললেও 'বড়' গন্ডগোল হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। আরিজ আফতাব আরও বলেন, "আজ মোটের উপর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি।" শুক্রবার, বাংলা ছাড়া দেশের ১২টি রাজ্যের ৮৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভাগ্য পরীক্ষা হয়েছে রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, হেমা মালিনীর মতো হেভিওয়েটদের।