দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভোট সপ্তমীতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড়ে নির্বাচন। তার আগে গ্রেপ্তার আরও এক তৃণমূল নেতা। নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে আরাবুল 'ঘনিষ্ঠ' ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপি। তিনি ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভগবানপুরের অঞ্চল সভাপতি। তাঁর স্ত্রী টানা বছর দশেক ভগবানপুর অঞ্চলের প্রধান ছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বাপি।
ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভগবানপুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতা খয়রুল ইসলামকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন। খয়রুল এলাকায় আরাবুল 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচিত ছিলেন। আর বাপি ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ওহিদুল ইসলামের 'ঘনিষ্ঠ'। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ওহিদুল কোভিড আক্রান্ত হন। মৃত্যুও হয় তাঁর। বাপি ধীরে ধীরে আরাবুল শিবিরে নাম লেখান। আর খইরুল পুরোপুরি আরাবুল বিরোধিতায় নেমে শওকত মোল্লার শিবিরে নাম লেখান।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভবনে নয়, এবার কর্তব্য পথে শপথের পরিকল্পনা মোদির! আগেভাগে চূড়ান্ত দিনক্ষণও]
স্থানীয়দের দাবি, নিউটাউন লাগোয়া ভগবানপুর অঞ্চলে মাটির ব্যবসা কার দখলে থাকবে, তা নিয়েই বরাবরই দ্বন্দ্ব ছিল খয়রুল ও ইব্রাহিমের মধ্যে। সেই অশান্তির জেরে ইব্রাহিম খয়রুলকে খুনের চক্রান্ত করে বলেই অভিযোগ। সে কারণেই গ্রেপ্তার হন ইব্রাহিম।
আরাবুল ইসলামের গ্রেপ্তারির চার মাসের মাথায় ইব্রাহিমকে পুলিশি ধরপাকড়ে শুরু জোর চাপানউতোর। ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠদের দাবি, খয়রুল ও শওকত মোল্লার ইন্ধনেই পুলিশ ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে। ভোটের আগের দিন ইব্রাহিমের গ্রেপ্তারিতে অন্যরকম সমীকরণ দেখছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।