অর্ণব আইচ: এবার থেকে ভোটের দিন জেলার পুলিশ কন্ট্রোলরুমগুলিতে (Police Control room) থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) আধিকারিকরা। জেলার কোথায়, কী ধরনের গোলমাল চলছে, তার উপর নজর রাখতেই এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই পুলিশের কন্ট্রোলরুমে থাকছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী আধিকারিক। এদিকে, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মোট ৬টি জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটে থাকছে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ করার সুযোগ পায়নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয়ভাবে তাঁরা বিশেষ তথ্য পাচ্ছেন না। পুলিশ যে তথ্য দিচ্ছে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের সেই ভোট কেন্দ্র বা বুথে যেতে হচ্ছে। আবার সময় বিশেষে পুলিশের সঙ্গে যেতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সেই ক্ষেত্রে ভোটের দিন স্বাধীনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজনে পৌঁছতে পারছে না ভোটকেন্দ্র বা বুথে। এখানে বড় অন্তরায় হচ্ছে তথ্য।
[আরও পড়ুন: SSC রায়কে ‘বেআইনি’ আখ্যা, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতে আর্জি কৌস্তভের]
তাই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা যাতে সরাসরি গোলমালের তথ্য পান, তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক বা একাধিক আধিকারিক ভোটের দিন সকাল থেকেই উপস্থিত থাকবেন পুলিশের কন্ট্রোলরুমে। পুলিশের কাছে যে খবরগুলি আসবে, সরাসরি সেই খবরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা জানাতে পারবেন তাঁদের কমান্ডার বা পদস্থ আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসাবে কোনও জায়গায় রয়েছে সিআরপিএফ, কোনও জায়গায় বিএসএফ বা আইটিবিপি অথবা এসএসবি। সেই ক্ষেত্রে কমান্ডাররাই ঠিক করবেন কোন বাহিনীর আধিকারিক পুলিশের কন্ট্রোলরুমে থাকবেন।
[আরও পড়ুন: আচমকা শশী পাঁজার বাড়িতে তাপস রায়, কী কথা হল?]
এদিকে, ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত থাকছে দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ কেন্দ্রে। এর মধে্য ৭৩ কোম্পানি থাকছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়, ৫১ কোম্পানি দার্জিলিংয়ে, ১৬ কোম্পানি কালিম্পংয়ে, ৫১ কোম্পানি পুলিশ জেলা ইসলামপুর, ৬০ কোম্পানি রায়গঞ্জ ও ২১ কোম্পানি শিলিগুড়ি কমিশনারেটে মোতায়েন করা থাকছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।