সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) শেষকৃত্যে নামল মানুষের ঢল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায়, ভিড় সামলাতে হিমশিম খেল পুলিশ। গাজিপুরের কালি বাগ কবরস্থানে মা-বাবার পাশেই সমাধিস্থ করা হল মুখতারকে। এদিন কবরস্থানের বাইরে বিপুল মানুষ উপস্থিত হন। ভিড় সরাতে লাঠি চার্জও করতে হয় পুলিশকে।
এদিন বিপুল সংখ্যক সমর্থকের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মুখতার আনসারির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। পরে কবরস্থ করার জন্য শবযাত্রা পৌঁছয় কবরস্থানে। মুখতার আনসারির ছেলে ওমর আনসারি উপস্থিত জনতাকে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা না করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু শেষকৃত্যে আসা বহু মানুষ মুখতার আনসারির কবরে মাটি দিতে চান। পরে পুলিশি তৎপরতায় তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উপস্থিতিতে কবরস্থ করা হয় মুখতারকে।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁরা কেবল রান্না করতেই জানেন’, মহিলা প্রার্থীকে কটাক্ষ করে বিতর্কে কংগ্রেস বিধায়ক]
বৃহস্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মুখতারের। সন্ধ্যায় আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিকেলের খাওয়া শেষের পর থেকেই তিনি বমি করতে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা জেলের ভিতরেই চিকিৎসা শুরু করেন। শেষপর্যন্ত অসুস্থতা বাড়লে ডাক পড়ে চিকিৎসকদের। ৮টা ২৫ নাগাদ মুখতারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে চিকিৎসা করছিল ৯ চিকিৎসকের এক দল। কিন্তু শেষপর্যন্ত হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মুখতারের ঠাকুর্দা মুখতার আহমদ আনসারি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। তাঁর অন্য এক দাদু মহম্মদ উসমান ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার। বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য উসমানকে মরণোত্তর ‘মহাবীর চক্র’ দেওয়া হয়। বলা হয়, কাশ্মীর ভারতের অন্তর্গত থাকতে পেরেছে যাঁদের জন্য তাঁদেরই অন্যতম উসমান। এদিকে ভারতের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি সম্পর্কে কাকা হন তাঁর। এহেন পরিবারের সন্তান হয়ে কালক্রমে অপরাধ জগতের সঙ্গে সংশ্রব গড়ে ওঠে মুখতারের। তিনি হয়ে ওঠেন গ্যাংস্টার।