সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই আপের জন্ম। একসময় সোনিয়া গান্ধীর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের যে তালিকা তিনি তৈরি করেছিলেন, তাতে নাম ছিল রাহুল গান্ধীরও। অথচ গান্ধী পরিবারের সেই সদস্যরাই এবার ভোট দিলেন আপকে। শুধু ভোট দিলেন না, আপকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলে দিলেন, বিভেদ ভুলে জোটধর্ম পালন করতে পেরে তাঁরা গর্বিত।
সেই নেহেরু জমানা থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) পর্যন্ত। দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে গান্ধীদের চার প্রজন্ম। কখনও ক্ষমতায়, কখনও বিরোধী শিবিরে। কিন্তু চার প্রজন্মের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথমবার গান্ধীরা ভোট দিতে পারলেন না কংগ্রেসকে (Congress)। আসলে রাহুলদের নিজেদের ভোট যে নয়াদিল্লি কেন্দ্রে, সেই কেন্দ্রটি এবার জোট সূত্র অনুযায়ী গিয়েছে আপের ভাগে।
[আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ‘রেমাল’, ‘জলভরা মেঘ পাশ কাটিয়ে এলাম’, বললেন মমতা]
শনিবার দিল্লির নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সকাল সকালই ভোট দিতে যান রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। ছেলেমেয়ে-সহ ভোট দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রবার্ট বঢরাও। ভোট দেওয়ার পর সেলফিও তোলেন মা-ছেলে। অর্থাৎ গান্ধীদের তিন প্রজন্ম ভোট দিলেন এদিন। কিন্তু কেউই ভোট দিতে পারেননি হাত চিহ্নে। নয়াদিল্লি কেন্দ্রটিতে এবার জোট সূত্র অনুযায়ী প্রার্থী ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের। ভোটাধিকার যতই গোপনীয় হোক, গান্ধীরা যে ইন্ডিয়া জোটের আপ প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন, সেটা নিয়ে বোধ হয় কারও মনেই সংশয় নেই। ভোটদানের পর স্বাভাবিকভাবেই হাত চিহ্নে ভোট দিতে না পারা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট বলে দিলেন, "আমরা সব বিভেদ দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভোট দিচ্ছি। আর এটার জন্য আমরা গর্বিত।"
[আরও পড়ুন: ব়্যাগিংয়ে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু, ৩৮ জনের শাস্তির সিদ্ধান্তেই সিলমোহর]
প্রিয়াঙ্কার বার্তার পর বোধ হয় আরও খানিকটা স্পষ্ট, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড জোটের স্বার্থে সব রকম আত্মত্যাগে রাজি। জোটধর্মের জন্য চরম প্রতিপক্ষের জন্যও বন্ধুত্বের দরজা খুলে রাখতে রাজি। নাহলে যে আপের জন্মই হয়েছে কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরোধিতা করে, তাঁদেরই ভোট দেবে কী ভাবে কংগ্রেসের প্রথম পরিবার!