সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) শুরুর আর একমাসও বাকি নেই। তবু আসন সমঝোতা নিয়ে জট এখনও অব্যাহত বাম-কংগ্রেসে। আর সেই জটে আটকে পড়েছে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা। আর এই টানাপোড়েনের মাঝে কোচবিহারের বামেদের অনুরোধ না রেখে জট আরও বাড়াল কংগ্রেস। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর (Biman Basu) অনুরোধ ছিল, কোচবিহার (Cooch Behar) থেকে যেন প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয় হাত শিবির। কিন্তু শনিবার, মনোনয়নের শেষ দিন দেখা গেল, কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী পিয়া রায়চৌধুরী মনোনয়ন পেশ করেছেন। ফলে মুখ ভার বিমান বসুর। আক্ষেপ করে বলছেন, কংগ্রেস অনুরোধ রাখল না!
কোচবিহারে আগেই সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল। ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতীশচন্দ্র রায়কে লোকসভার লড়াইয়ে নামিয়েছে বামেরা। কংগ্রেসও পরে এই আসনে পিয়া রায়চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। তখনই জট স্পষ্ট হয়েছিল। বামেদের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল, কোচবিহার থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করুক কংগ্রেস। কিন্তু সেই অনুরোধে সাড়া দেননি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। শনিবার পিয়া নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল কোচবিহারে ভোট। আজই ছিল মনোনয়নের শেষ দিন।
[আরও পড়ুন: নজরে নির্বাচন, এপ্রিলের গোড়াতেই উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা]
এদিকে শনিবার উত্তর কলকাতার (Kolkata Uttar) সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যর সমর্থনে বেলেঘাটায় সভা করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেখানে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি কংগ্রেসের পদক্ষেপ নিয়ে আক্ষেপ করলেও তাঁর দায়সারা বক্তব্য, “কংগ্রেস বলেছে ওকে নিয়ে কাজ করবে না।” আর জোটে জট নিয়ে তাঁর বক্তব্য,“অমন একটু-আধটু হতেই পারে অনেক জায়গায়। ভোটের পর দেখা যাবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]
কোচবিহারের কংগ্রেস প্রার্থী পিয়া রায়চৌধুরীর স্বামী বিশ্বজিৎ সরকার আপাতত জেলা কংগ্রেস সংগঠনের দায়িত্বে। বামেদের অনুরোধ এবং তার পরবর্তী ঘটনাক্রম নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ''বিমানবাবুর বুড়ো বয়েসে ভীমরতি হয়েছে। উনি নিজের ফ্রন্টের অশান্তি মেটাতে পারছেন না, আমাদের বলছেন। আমরা ওনার কথা কেন শুনব? আর নরেন চট্টোপাধ্য়ায় কে কেষ্ট-বিষ্টু? উনি রোজ এসে কংগ্রেসকে গালি দেবেন, বলবেন, কংগ্রেসের ভোট চাই না। আর আমরা তাঁদের কথা শুনব? ফরওয়ার্ড ব্লক আমাদের ভোট চায় না। সিপিএম আমাদের প্রার্থী তুলে নিতে বলছে। ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের কথা শোনে না। তাহলে আমাদের প্রার্থীরা কোথায় কাকে ভোট দেবে? হ্যাঁ, প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী একমাত্র বললে আমার স্ত্রী প্রার্থীপদ তুলে নিতেন। কিন্তু তিনি আজ সারাদিন আমায় একবারও ফোন করেননি। প্রার্থী মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময়েই শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছিলেন, ভাল করে ভোট করতে।''