সুমন করাতি, হুগলি: লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই প্রচারের ময়দানে হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। মন্দিরে পুজো দিলেন বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’, আবার মসজিদে গিয়েও করলেন প্রার্থনা। এদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায় বসে পড়লেন রান্না করতে। ভাজা মাছ যে তিনি ভালোভাবেই উলটে দিতে পারেন, বোঝালেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী।
জনগর্জনের সভা থেকেই হুগলির তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। নাম ঘোষণার পর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা সেরেছেন রচনা। মঙ্গলবার অভিনেত্রী পৌঁছে যান চন্দননগর বিধানসভা এলাকায়। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শুরু করেন প্রচার। পুজো দেন স্থানীয় মন্দিরে। চন্দননগরের প্রাচীন মোল্লাহাজি বাগান মসজিদেও যান ‘দিদি নম্বর ১’। সেখানেও করেন প্রার্থনা।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারব্যবস্থার কলঙ্ক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’, বিজেপি নেতাকে তোপ শওকতের]
শুধু দলীর কর্মী-সমর্থকরাই নন, এদিন রচনার প্রচার সঙ্গী ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘দিদি নম্বর ১’ বলেন, “এই বিশ্বাস আমার মধ্যে রয়েছে যে আমি যে কাজটা করব সেটা একশো শতাংশ দিয়ে করব। তো আমার সেই বিশ্বাস, ঠাকুরের প্রতি আস্থা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে এবং তাই আমি জানি যে আমি জিততে পারব।” এদিন ‘দিদি নম্বর ১’ বন্ধ হওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে। তা নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন রচনা। বলেন, “আমি তো কখনও শুনিনি এমন কথা। কোথাও কোনও লিগাল নোটিস এরকম নেই। সে তো নির্বাচন কমিশন বলবে। এমন কোনও নোটিস কোথাও নেই যে ‘দিদি নম্বর ১’ বন্ধ হওয়া উচিত।”
রচনা যখন চন্দননগরে নিজের প্রচার করছিলেন, তখন বিজেপির তারকা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ছিলেন চুঁচুড়া বিধানসভার রাজহাটে। সেখানে ওলাবিবি মাতার পুজোয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। তার পর সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে পড়েন রান্না করতেন। তরকারি রান্নার পাশাপাশি মাছও ভাজতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীকে। আবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমেও প্রচার করেন তিনি। এরই মাঝে বলেন, “চারদিকে মোদিজি এবং বিজেপির প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখে আমি নিশ্চিত, এই নির্বাচনে মোদিজিকে ৪০০ পার করতে আর হুগলি থেকে পদ্ম ফুল পাঠাতে মানুষ সঙ্কল্পবদ্ধ।”