সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই হরিয়ানায় (Haryana) শাসক বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিন নির্দল বিধায়ক। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের বিপদে হরিয়ানার গেরুয়া শিবির। এবার কুরুক্ষেত্রের প্রাক্তন সাংসদ কৈলাশো সাইনি (Kailasho Saini )যোগ দিলেন কংগ্রেসে। তিনি শুধু দুবারের প্রাক্তন সাংসদই নন, একজন ওবিসি এবং সর্বোপরি মহিলা। ফলে লোকসভা ভোটের আবহে বিজেপির উপর চাপ আরও বাড়ল।
রবিবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার উপস্থিতিতে কৈলাশো কংগ্রেসে (Congress) যোগ দেন। গোটা জেলায় তিনি ওবিসি সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য মুখ। আসন্ন নির্বাচনে কুরুক্ষেত্রে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের তরফে আপ প্রার্থী সুশীল গুপ্তার হয়ে প্রচারও করবেন তিনি। কুরুক্ষেত্রে আগামী ২৫ মে ভোটগ্রহণ।
[আরও পড়ুন: ‘পার্থ ভৌমিককে ভোট দিন’, রাজের সঙ্গে ভোটপ্রচারের গাড়িতে গলা ফাটালেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা!]
১৯৯৮ এবং ১৯৯৯-এর নির্বাচনে কুরুক্ষেত্রে জিতেছিলেন কৈলাশো (Kailasho Saini )। হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের ওপি জিন্দলকে। যার ছেলে, শিল্পপতি নবীন জিন্দল এবার কুরুক্ষেত্রের বিজেপি প্রার্থী। তবে তখন জিতেছিলেন হরিয়ানা লোকদল (রাষ্ট্রীয়) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের প্রার্থী হিসাবে। তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনে তার আগে কুরুক্ষেত্র জেলা পরিষদের চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি। এর আগে হুডা যখন মুখ্যমন্ত্রী, তখন ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কৈলাশো। কিন্তু সে বছর এবং ২০১৪-য় বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যান। ২০১৯-এর ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কৈলাশো বলেন, “রাজ্যে তাঁর দশ বছরের শাসনে ভূপিন্দর সিং হুডা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। সবাইকে সম্মান দিয়েছেন। বহুদিন ধরেই তাই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছিলাম। বিশ্বে এমন গণতান্ত্রিক দল আর কোথাও নেই।”
[আরও পড়ুন: বইয়ের প্রচ্ছদে পুরুষাঙ্গের আদলে রবীন্দ্রনাথের মুখ! নিন্দায় সরব বাঙালি সমাজ]
কেন বিজেপি (BJP) ছাড়লেন? কৈলাশোর দাবি, “ওরা সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। সংবিধান বদলের ষড়যন্ত্র করছে। চাষিদের লাঠিপেটা করেছে।” তাঁকে স্বাগত জানিয়ে হুডা বলেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যের প্রায় ৪০ জন প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সদ্য তিন নির্দল বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করায় হরিয়ানায় বিজেপি সরকার সংখ্যালঘু। নৈতিক কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত।