shono
Advertisement
Bhangar

হাতে এল এক্সক্যালিবার রাইফেল, ভোটমুখী ভাঙড়ে আরও শক্তিশালী পুলিশ

ভাঙড় যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর পুলিশের।
Published By: Sayani SenPosted: 12:42 PM May 27, 2024Updated: 02:42 PM May 27, 2024

অর্ণব আইচ: ভোটের আগে ভাঙড় নিয়ে সতর্ক পুলিশ। ভোটের আগে এবং পরে ভাঙড় এলাকায় যাতে অপরাধীরা মাথাচাড়া না দিতে পারে ও পুলিশের উপর কোনও হামলা না হয়, তার জন‌্য ভাঙড়ের চারটি থানার হাতেই আধুনিক রাইফেল তুলে দিল লালবাজার। ভাঙড়ের চারটি থানার পুলিশের হাতে এক্সক‌্যালিবার রাইফেল তুলে দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের নতুন ডিভিশন ভাঙড়ের আওতায় রয়েছে চারটি থানা। ভাঙড় এলাকায় যাতে গোলমাল না হয়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেদিকে বিশেষ নজর পুলিশের। এলাকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই যে ‘ট্রাবল মঙ্গার’রা গোলমাল করে, তাদের চিহ্নিত করতে শুরু করেন থানার পুলিশ আধিকারিক ও লালবাজারের গোয়েন্দারা। কিন্তু একই সঙ্গে যাতে কোনও গোলমাল বা সংঘর্ষ রুখতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত না হয়, সেদিকেও লালবাজার গুরুত্ব দেয়। সেই কারণেই ভাঙড় এলাকার প্রত্যেকটি থানার হাতে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওযার পরিকল্পনা করেন লালবাজারের কর্তারা।

সেইমতো প্রথমেই উত্তর কাশীপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় এক্স ক‌্যালিবার রাইফেল। ক্রমে বাকি তিনটি থানা ভাঙড়, পোলেরহাট ও চন্দনেশ্বর থানার পুলিশ আধিকারিকদের দেওয়া হয় ওই আধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, ভাঙড় এলাকার চারটি থানাকে চারটি করে এক্স ক‌্যালিবার রাইফেল দেওয়া হয়েছে। সেইমতো মোট ১৬টি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল আছে ভাঙড় ডিভিশনের থানার পুলিশের হাতে।

[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপট কাটিয়ে দমদম বিমানবন্দরে চালু উড়ান পরিষেবা, এখনও জলমগ্ন রানওয়ে]

পুলিশের মতে, ভোটের আগে যাতে এলাকায় কোনও গোলমাল না হয়, তার জন‌্য পুলিশ ভাঙড় এলাকায় ওই আধুনিক রাইফেল নিয়েই টহল দিতে শুরু করেছে। রীতিমতো বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় রুট মার্চ করছেন পুলিশকর্মী ও সঙ্গে থাকছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এলাকার বাসিন্দা যাতে দুষ্কৃতীদের ভয় না পান ও দুষ্কৃতীরা যাতে পুলিশের ভয়ে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেই চেষ্টাই হচ্ছে। ভোটের আগে অস্ত্র হাতে ‘এরিয়া ডমিনেশন’-এর উপর পুলিশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ভাঙড়ে ভোটের দিনেও ওই আধুনিক রাইফেল থাকবে পুলিশের হাতে। কোথাও কোনও সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে যাতে পুলিশের উপর হামলা না চলে, তার জন‌্য পুলিশের হাতে থাকবে ওই রাইফেল।

এদিকে, থানা ছাড়াও ভাঙড়ের ডিসি অফিসে মোতায়েন করা পুলিশকর্মীদের হাতেও রয়েছে আধুনিক অস্ত্র। ভাঙড় ডিভিশনের ডিআরও অফিসেও লালবাজারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কোনও এলাকায় গোলমালের খবর পেলেই কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হবে ওই পুলিশবাহিনী। এর মধ্যেই কলকাতায় উপস্থিত হচ্ছে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে একটি বড় অংশ মোতায়েন হচ্ছে ভাঙড় এলাকায়। ভোটের আগে ও ভোটের সময় গোলমাল রুখতেই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: IPL-এ শাহরুখের সাফল্যে ‘গাত্রদহ’ অমিতাভের! কাব্য মারানের কান্নায় কষ্টে বিগ বি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভাঙড়ের চারটি থানার পুলিশের হাতে এক্সক্যালিবার রাইফেল তুলে দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।
  • ভাঙড় এলাকায় যাতে গোলমাল না হয়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেদিকে বিশেষ নজর পুলিশের।
  • এলাকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই যে ‘ট্রাবল মঙ্গার’রা গোলমাল করে, তাদের চিহ্নিত করতে শুরু করেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
Advertisement